‘অতিরিক্ত সচিবের জন্য বিলম্ব: প্রাণ গেল অ্যাম্বুলেন্সের রোগীর’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ সঠিক নয় বলে দাবি করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
একইসঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে আব্দুস সবুর মন্ডল নামে কোনো অতিরিক্ত সচিব বা যুগ্মসচিব নেই বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এর ফেরি যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সেবায় নিয়োজিত। বিআইডব্লিউটিসি বর্তমানে প্রবল স্রোতের মধ্যেও ফেরি সার্ভিস চালু রেখেছে। তারা সবসময় অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য যানবাহন পারাপারে জরুরি সার্ভিস দিয়ে থাকে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, সেদিনের দুঃখজনক মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শাহনওয়াজ দিলরুবা খানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অপর সদস্য হলেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহ হাবিবুর রহমান হাকিম। কমিটি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুস সবুর মণ্ডল ও তার গাড়ির বিষয়ে বলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থায় আব্দুস সবুর মণ্ডল নামে কোনো অতিরিক্ত সচিব বা যুগ্মসচিব বা কোনো অফিসার নেই। সেদিন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থার উক্ত নামে কেউ কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া রুটে ফেরি পারাপার হননি।
নিহত ওই শিশুর স্বজনরা গণমাধ্যমকে জানায়, গত ২৫ জুলাই রাতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তিতাস ঘোষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছিল। গুরুতর আহত তিতাসকে বাঁচাতে তার স্বজনরা ফেরি কর্তৃপক্ষ এবং দায়িত্বরত পুলিশদের অনুরোধ করলেও ফেরি ছাড়েনি। সবশেষে ন্যাশনাল কলসেন্টারের ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেও সাহায্য চায়। কিন্তু মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের অনুরোধে প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করে রাত পৌনে ১১টার দিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস আসার পরেই ফেরি ছাড়া হয়। ততক্ষণে মস্তিস্কে প্রচুর রক্তক্ষরণে মাঝ নদীতে থাকা আম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় তিতাসের।