বিরোধীদলে গেলেও তারা ভালো ভূমিকা রাখবে বলে জানয়েছে ১৪ দলের শরিক বিভিন্ন দল। তবে তারা সরকারে থাকবে নাকি বিরোধীদলে, সে সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনার পর ঠিক হবে।
আইন বিশেষজ্ঞরা অবশ্য জানিয়েছেন, নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ীদের বিরোধীদলের ভূমিকায় থাকার সুযোগ নেই। সরকারি দলের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দিলে সংসদ সদস্য পদ হারাতে হবে তাদের।
১৯৯৬ সালে ছিলো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ঐকমত্যের সরকার। ২০০৮ থেকে জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের শরিকদের নিয়ে মহাজোট সরকার চলেছে টানা দশ বছর। কিন্তু ৭ জানুয়ারি শপথ নেয়া নতুন মন্ত্রিসভায় মহাজোট বা ১৪ দলের শরিকরা নেই। এর মাধ্যমে ৯৬ সালের পর শরিকদের ছাড়া কোনো সরকার দেখছে বাংলাদেশ।
গত দুই সরকারে ১৪ দলের যে শরিকরা সরকারে ছিলো, এবার তাদের বসতে হতে পারে বিরোধীদলে। শরিক দলের নেতারা বলছেন, দেশের প্রয়োজনে যেকোনো ভূমিকা পালনের জন্য তারা প্রস্তুত।
কিন্তু নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত ওই শরিকরা কতোটা কার্যকরভাবে বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করতে পারবে সেই প্রশ্ন আছে রাজনীতির অঙ্গনে।
গত সংসদে মন্ত্রিসভায় থাকা ১৪ দলের এই শরিকরা মনে করে, মন্ত্রিসভায় না থাকলেও ১৪ দলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
চলতি জানুয়ারিতেই শুরু হবে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। সংসদে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির অবস্থান স্পষ্ট, তারা বসছে বিরোধীদলে।
বিস্তারিত সঞ্জয় চাকীর ভিডিও রিপোর্টে: