নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য আবুল খায়েরের দুর্নীতি মামলা বাতিল সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার আবুল খায়েরের মামলা বাতিল সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দেন।
এর ফলে আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে যে দুর্নীতির মামলাটি রয়েছে তা চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে আবুল খায়েরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মওদুদ আহমেদ। আর দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
এ বিষয়ে আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, রুল খিারিজের পাশাপাশি আদালত মামলাটি এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আর দুদক আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, মামলা বাতিল সংক্রান্ত রুল খারিজ করায় সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে দুর্নীতির মামলাটি চলতে আইনি কোনো বাধা থাকছে না।
আবুল খায়ের উপাচার্য থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের আগের অনুমোদন বাদ দিয়ে স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই অনুমোদিত পদের অতিরিক্ত ৬ জন কর্মকর্তা ও ১০৮ জন কর্মচারী নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ উঠে।
পরে অনুসন্ধানে এর প্রমাণ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. বেনজির আহমদ ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি নোয়াখালী সুধারাম থানায় মামলা করেন।
একই বছরের ১৫ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়। এরপর গত বছর নোয়াখালীর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন আবুল খায়ের। পরে গত বছরের ১২ নভেম্বর নোয়াখালীর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত অভিযোগ গঠনের শুনানিতে তার অব্যাহতির দরখাস্ত না মঞ্জুর করেন।
এরপর গত বছরের ৩০ নভেম্বর হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করলে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আজ সেই রুলটি খারিজ করে দিলেন আদালত।