উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে প্রথম ধাপে সারাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের দুইশো নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ। আগামী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে সেইসব নেতাদের।
চিঠিতে যা আছে
‘সংগঠনের আদর্শ ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রসঙ্গে’- এমন শিরোনামে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘গত ১২ জুলাই ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, আপনার বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ এবং নানাবিধ তৎপরতাসহ সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থারকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চিঠি প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত আকারে উত্তর দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে চিঠিতে আরও বলা হয়েছে: সে কারণে গঠনতন্ত্রের ৪৭(ক) ধারা অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে কেন সংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এতদ বিষয়ে আপনার লিখিত জবাব আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে (বাড়ি ৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা) প্রেরণ করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।’’
এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন, ১৫০ জন নেতাকে দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুইশো জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়।
তবে এই তালিকায় কোনো মন্ত্রী, এমপি এবং কেন্দ্রীয় নেতার নাম নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে দলটির দপ্তর সূত্রগুলো বলছে: বিগত দিনে যেসব এমপি, মন্ত্রী এমনকি কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরূদ্ধে মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব পাওয়ার পর এ বিষয়ে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হবে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনার পর যাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাদের তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।