আদালত অবমাননার দায়ে নৈতিক দায়িত্ব থেকে সরকারের দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করবেন বলে মনে করছেন আইনজীবী ডক্টর শাহদীন মালিক। রায়ের পর এ বিষয়ে তাদের আপিলের কোনো সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মীর কাসেম আলীর যুদ্ধাপরাধ আপিল মামলার রায় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে মন্তব্য করায় খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে আদালত অবমাননার দায়ে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডক্টর শাহদীন মালিক বলেন, এ ধরণের আদালত অবমাননার বিষয়ে দুই মন্ত্রীর মন্ত্রীত্ব থাকবে কি থাকবে না, সে বিষয়ে সংবিধানে স্পষ্ট কিছু বলা নেই।
তিনি বলেন, মন্ত্রীর বিষয়ে বলা আছে যে প্রধানমন্ত্রী যতজন প্রয়োজন মনে করবেন ততজন, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী নিয়োগ করবেন। এবং প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন তাহলে কোনো মন্ত্রীকে সড়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে পারবেন। এবং এ মন্ত্রী যদি সেই নির্দেশ অমান্য করে তাহলে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে ওই মন্ত্রীর বরখাস্তের পরামর্শ দিতে পারবেন। এটা তো কোনো দেশ বা সমাজের জন্য কাম্য হতে পারে না। তবে এটাও ঠিক যে আমাদের মন্ত্রী পরিষদে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্তরাও কিন্তু মন্ত্রী হিসেবে আছেন। তারা আপিল করেছেন ওই অজুহাতে, এটাও খুব দুর্ভাগ্যজনক। এটা সর্বোচ্চ আদালতের রায়, সুতরাং আপিলের কোনো সুযোগ নাই, এটাই চূড়ান্ত রায়।
তবে এ ঘটনায় মন্ত্রী হিসেবে তাদের মন্ত্রী পদে থাকার নৈতিক কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, সর্বোচ্চ আদালত থেকে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর মন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। প্রতি সোমবার মন্ত্রীপরিষদের বৈঠক হয়। আগামীকাল সোমবার সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক দণ্ডিত অপরাধী কিভাবে মন্ত্রীপরিষদ বৈঠকে বসবেন? সুতরাং আমার প্রত্যাশা হবে, আজকের মধ্যেই কোনো একসময় তারা নৈতিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করবেন।
আদালত দুই মন্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা করে যে অর্থদণ্ড দিয়েছেন তা জনহিতকর প্রতিষ্ঠানে দেয়ার নিয়ম রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডক্টর শাহদীন মালিক।