দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে নেয়া হচ্ছে না সদ্য প্রয়াত কালজয়ী অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানকে। এমনটাই জানিয়েছে তার পরিবার।
এদিকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলছেন, আমরা চেষ্টা করছি এ টি এম ভাইয়ের মতো কিংবদন্তী মানুষকে এফডিসি থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় দিতে।
চ্যানেল আই অনলাইনকে শিল্পী সমিতির এই নেতা জানান, আমার বাবাও খুব বেশিদিন হয়নি মারা গেছেন। সে কারণে আমি আছি পিরোজপুরে। আফসোস রয়ে গেল শেষবার এ টি এম ভাইকে দেখতে পারলাম না। তার পরিবারের সাথে কথা বলেছি, রাজি না থাকলেও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি কিংবদন্তী এই অভিনেতাকে এফডিসিতে নিয়ে আসার।
তিনি বলেন, আমি যদি পিরোজপুর না থেকে ঢাকায় থাকতাম তাহলে অবশ্যই এ টি এম ভাইকে এফডিসিতে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা করতাম। শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা ভাই ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে। তারপরও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এফডিসিতে এ টি এম ভাইকে নিয়ে আসার।
এদিকে এ টি এম শামসুজ্জামানের ছোট ভাই সেলিম জানিয়েছেন, বাদ জোহর নারিন্দায় পীর সাহেব বাড়ি জামে মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আসর সূত্রাপুর বাজার জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বড় ছেলে কামরুজ্জামান কবিরের পাশে জুরাইন কবরস্থানে এ টি এম শামসুজ্জামানকে সমাহিত করা হবে।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে ক’দিন ধরেই ভুগছিলেন রঙের মানুষ খ্যাত এই অভিনেতা। গত পরশু রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালেও নেয়া হয়। অক্সিজেন কমে গিয়েছিলো। সেখানে চিকিৎসা শেষে শুক্রবারই বাসায় নিয়ে আসা হয় তাকে। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি মারা যান।
ষাটের দশকের শুরুতে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এ টি এম শামসুজ্জামান। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন ‘জলছবি’ ছবিতে। লিখেছেন শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে খল অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা পান এ টি এম।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও মাঝেমধ্যেই শখের বশে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ছবি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর ‘আলফা’। যা ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।