নেপালের ঘরোয়া লিগ চ্যাম্পিয়ন মানাং মার্সিয়াংদিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। বিশাল জয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি কাপের নকআউটে ওঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা।
গ্রুপ ‘ই’ থেকে পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আকাশী-নীলরা। একই দিনে ভারতেরই আরেক ক্লাব মিনার্ভা পাঞ্জাবের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট খুইয়েছে চেন্নাইয়িন এএফসি। তাতে টেবিলের শীর্ষ থেকে দুইয়ে নেমে গেছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দলটি। পাঁচ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৮। চার গোলের ব্যবধানে এগিয়ে আবাহনী। গ্রুপের শেষ ম্যাচে মিনার্ভার মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরলেই ইতিহাস সৃষ্টি করবে জায়ান্টরা। ড্র হলেও খুব একটা ক্ষতি হবে না। সেক্ষেত্রে মানাংয়ের মাঠে তিনের বেশি গোলে জেতা চলবে না চেন্নাইয়িনের।
বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আবাহনী প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। শুরুর ১১ মিনিটে ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবনের ডানপায়ের জোরাল শট বামপ্রান্ত দিয়ে মার্সিয়াংদি গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ঠাই নেয় জালে।
গোল পেয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে আকাশী-নীল বাহিনী। ৩৭ থেকে ৪১ মিনিটের মধ্যে অন্তত দুবার গোল পেতে পারতো দলটি। বিরতির ঠিক আগমূহুর্তে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেভিন বেলফোর্ট। প্রথম গোলদাতা জীবনের দারুণ এক পাস কাজে লাগিয়ে ডি-বক্স থেকে নেয়া হাইতিয়ান ফরোয়ার্ডের শট ঢুকে যায় জালে।
আবাহনীর তৃতীয় গোলটি দুই রানার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। সোহেল রানার পাস থেকে ৬৩ মিনিটে বাঁ-পায়ের শটে গোল করেন মিডফিল্ডার জুয়েল রানা।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটে সানডে চিজোবার কল্যাণে গোলের হালি পূর্ণ করে আবাহনী। এবারও নেপথ্যের নায়ক নাবিব নেওয়াজ জীবন। তার বাড়ানো বলে দূরহ কোণ থেকে শট নিয়ে গোল পান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড।
একদম শেষ সময়ে মানাংয়ের জালে শেষ পেরেক ঠুকেছেন মামুনুল ইসলাম। অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে সানডে চিজোবার সহায়তায় প্রতিপক্ষকে বোকা বানান অভিজ্ঞ এ মিডফিল্ডার।