নেত্রকোণায় আম বাগানে বিভিন্ন শাকসবজি আবাদ করছেন কৃষক। সমন্বিত এই চাষ ব্যবস্থায় অনেক বেশি লাভবান হচ্ছেন তারা।
নেত্রকোণা সদর উপজেলার খন্দকার আনিসুর রহমান ২০০৯ সালে সাত কাঠা জমিতে আম্রপালি আমের বাগান করেন। ওই বাগানে প্রতি বছরই সাথী ফসল হিসেবে আবাদ করছেন শশা, কুমড়া, ঢেড়শ, ওলসহ উচ্চফলনশীল বিভিন্নজাতের সবজি। এতে প্রতি বছরই আমের ফলন পাওয়ার পাশাপাশি দেড় দুই লাখ টাকা বাড়তি আয় করছেন তিনি।
মৌসুমি সবজি আবাদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমের সাথে সাথী ফসল হিসাবে আমি ওল, লাউ এবং শীতকালীন সবজী গুলোর আবাদ করে থাকি।
তার দেখাদেখি জেলা সদরের সনুরা, দরিদাগি, বর্শিকুড়া ও আশেপাশের গ্রামে শুরু হয়েছে আমবাগানে সবজি চাষের এই লাভজনক কার্যক্রম।
ঐ এলাকার একজন কৃষক বলেন, আনিস ভাইয়ের দেখাদেখি আমিও সাথী ফসলের আবাদের শুরু করি। প্রথম বছর পাঁচ কাঠা জমিতে চাষের পর এবার শশার আবাদ করেছি। ফলনও পেয়েছি বাম্পার।
নেত্রকোণায় এবার আমবাগান রয়েছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে ফলন পাওয়া গেছে ২০ থেকে ২২ টন আম। কিছু অংশে পাওয়া গেছে আম ও সবজি দুই-ই।
নেত্রকোণা খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিলাস চন্দ্র পাল বলেন, কৃষকেরা আমের বাগান করার পাশাপাশি শশা, কুমড়া, ঢেড়শ, ওলের চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভোবান হওয়ার পাশাপাশি নিজেরাও খাচ্ছে।