দলীয়ভাবে বল টেম্পারিং করার জেরে কড়া সমালোচনা ও তদন্তের মুখে পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। রোববার কেপটাউন চেস্টের চতুর্থদিনের খেলা শুরুর আগে দুজনের এই ম্যাচের বাকি অংশের জন্য নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা নিশ্চিত করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান টিম পেইন টেস্টের চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে অজি দলকে নেতৃত্ব দেবেন।
কেবল স্মিথ-ওয়ার্নারই নন। অভিযোগ ওঠে চলতি সাউথ আফ্রিকা সফরে অস্ট্রেলিয়া দলের সবাই মিলে বল টেম্পারিং করেছেন। এমনকি কোচও সেটা জানতেন! টিভি রিপ্লেতেও পরিষ্কার হয়েছে ঘটনা। বাধ্য হয়ে ক্ষমাও চেয়েছিলেন স্মিথ। বাড়তে থাকা সমালোচনার মুখে অজি সরকারের পক্ষ থেকেও স্মিথের অপসারণ চাওয়া হয়েছিল।
সিএ’র প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড গণমাধ্যমকে জানান, স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে আলোচনার পর তারা কেপটাউন টেস্টের বাকি অংশের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে সম্মত হয়েছেন।
‘চলতি টেস্ট ম্যাচটি এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন, এবং একই সময়ে আমরা তদন্ত অব্যাহত রাখব, ঘটনা যতটা গুরুত্ব বহন করে সে অনুযায়ীই তড়িত পদক্ষেপের সঙ্গে তদন্ত আগাবে।’ যোগ করেন সাদারল্যান্ড।
অভিযোগ ওঠার পর স্মিথের দাবি ছিল, আগে কখনো এমন করেননি তারা। সাদারল্যান্ড শুরুতে ঘটনার জন্য ‘ব্যথিত এবং সত্যিকারের হতাশ’ প্রকাশ করে তদন্তের ঘোষণা দেন। সেই তদন্তের প্রথম ধাপেই এল স্মিথ-ওয়ার্নারের সরে দাঁড়ানোর খবর।
কেপটাউন টেস্টে শনিবার পকেট থেকে কিছু একটা বের করে বল ঘষতে দেখা যায় ক্যামেরুন বেনক্রফটকে। পরে তিনি নিজে স্বীকার করেছেন অধিনায়ক স্মিথ আগে থেকেই এই ব্যাপারটি জানতেন। তারপরই শোরগোল ওঠে।
ক্রিকেট দুনিয়ায় বহুকাল বল টেম্পারিংয়ের এমন গুরুতর অপরাধের দেখা মেলেনি। বলের কোনো পাশের রংয়ের পরিবর্তন করতে পারলে ইনসুইং, আউট সুইং এবং রিভার সুইংয়ে প্রভাব ফেলা যায়। সেটাই করেছেন অজি ক্রিকেটাররা।
আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী, হাত কিংবা কোনো কৃত্রিম পদার্থ দিয়ে বলের রং চটানো কিংবা কোনো প্রকার পরিবর্তন নিষিদ্ধ। ক্রিকেটাররা বড়জোর ট্রাউজারের সঙ্গে বল ঘষতে পারেন। ১৯৯৪ সালে ইংলিশ অধিনায়ক মাইক আথারটন লর্ডস টেস্টে এই সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষেই বল টেম্পারিং করে ধরা পড়েছিলেন।