রোনালদোর শূন্যস্থানটা এখনো ফাঁকাই রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ক্লাবটির বিশ্বাস ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লের জন্য উয়েফার কাছে শাস্তি পাবে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজি। তাতে সিআর সেভেনের যোগ্য দুই বিকল্প নেইমার কিংবা কাইলিয়ান এমবাপেকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
গ্রীষ্মকালীন দলবদলের বাজার বন্ধ হতে সময় বাকি আর মাত্র ৮দিন। রিয়ালের বিশ্বাস এই সময়ের মধ্যেই ইউরোপিয়ান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা উয়েফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হতে পারে পিএসজিকে। কারণ নেইমার ও এমবাপেকে কিনতে উয়েফার বেঁধে দেয়া নিয়ম লঙ্ঘন করেছে ফরাসি ক্লাবটি।
গত মৌসুমে মোনাকো থেকে ধারে এনে এমবাপেকে খেলিয়েছে পিএসজি। আগামী সপ্তাহের সোমবার শেষ হয়ে যাবে সেই চুক্তি। তখন হয় এমবাপেকে ১৮০ মিলিয়ন ইউরোতে কিনে নিতে হবে কিংবা মোনাকোতেই ফিরে যেতে হবে ২০ বছর বয়সী গত বিশ্বকাপে উজ্জ্বল তারকাকে। তবে গোপনে গোপনে যে মোনাকোর সঙ্গে এক প্রকার চুক্তি সারা পিএসজির, সেটা সবারই একপ্রকার জানাই।
গত বছর নেইমারকে কিনতে এমনিতেই ২২২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে পিএসজি। এবার যোগ হতে চলেছে এমবাপের জন্য করা খরচ। কিন্তু এর বিপরীতে একটি পয়সাও আয় হয়নি দলটির। সেটিই ভরসা যোগাচ্ছে রিয়ালকে।
উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী আয়ের এক-তৃতীয়াংশ খরচ করতে পারে ক্লাবগুলো। কিন্তু আয় তো দূরের কথা, নেইমার ও এমবাপেকে কিনে দুবার ফেয়ার প্লে আইন ভাঙার দ্বারপ্রান্তে পিএসজি। অর্থাৎ, উয়েফার কাছ থেকে বড় রকম ধাক্কা খাওয়ার প্রান্তে পিএসজি।
পিএসজির ভাগ্যে কী আছে সেটা জানা যাবে ৩০ আগস্ট। আর দলবদলের সময় শেষ হবে ৩১ আগস্ট। ইতিমধ্যেই ইতালি ও ইংল্যান্ডের দলবদলের জানালা বন্ধ হয়ে গেছে। যদি নেইমার কিংবা এমবাপেকে ছাড়তেই হয় লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের, তাহলে দুজনকে কেনার মতো সক্ষমতা কেবল রিয়ালেরই আছে।
রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রয়োজনে নেইমারের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করবেন। তবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে পিএসজির না ছাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। সেক্ষেত্রে এমবাপেকেই ত্যাগ করতে হতে পারে ক্লাবটিকে। অবশ্য তাতেও খুব বেশি ক্ষতি হওয়ার কথা নয় রিয়ালের। ভাবা হচ্ছে, বর্তমান সময়ে রোনালদোর যোগ্য তিন তারকার একজন হচ্ছেন ফরাসিদের উঠতি মহাতারকা।