যেন ঘুরেফিরে আসছে চার বছর আগের সেই তিক্ত স্মৃতি। মাঠে লুটিয়ে কাতরাচ্ছেন নেইমার। পরে ছিটকে গেলেন ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ থেকে, সঙ্গে নিয়ে গেলেন ব্রাজিলের আশা-ভরসাও! যার ফলাফল জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের বিধ্বস্ত হওয়া।
চার বছর পর আরেকটি বিশ্বকাপ দুয়ারে কড়া নাড়ছে, তখন কিনা আরেকবার গুরুতর চোটে পড়লেন নেইমার; শঙ্কায় বিশ্বকাপে যেতে পারা নিয়েই। কিন্তু এবার আর আশা ছাড়ছে না ব্রাজিলিয়ানরা। টুর্নামেন্টের মাঝে যখন নয়, হাতে বেশ খানিকটা সময় আছে; তাই তারা একযোগে প্রার্থনায় নেমে পড়েছেন নেইমারের দ্রুত সুস্থ হওয়ার নিমিত্তে।
গত শনিবার মার্সেইয়ের বিপক্ষে লিগ ওয়ানের ম্যাচে গুরুতর চোট পান পিএসজি তারকা। মচকে যায় ডান পায়ের গোড়ালি, ভেঙ্গেছে মেটাটারসাল হাড়। প্রথমে অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত না নিলেও শেষ পর্যন্ত চোটের ধরণ দেখে শল্যবিদের ছুড়ির নিচে যাওয়ার পক্ষেই সায় দিয়েছে পিএসজি কর্তৃপক্ষ। নেইমারের ব্রাজিলিয়ান চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার ও জেরার্ড সাইল্লান্ত জানাচ্ছেন, আড়াই থেকে তিন মাসের জন্য ছিটকে যাচ্ছেন সেলেসাও ফরোয়ার্ড। অর্থাৎ, ঝুঁকিতে আছে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণও!
নেইমারের অস্ত্রোপচার হবে বেলো হরিজন্তের মাতেইর ডেই হাসপাতালে। তার জন্য ভাড়া করা হয়েছে হাসপাতালের পুরো একটি ইউনিট। থাকবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাও। তাতে কী কমবে প্রতিটি ব্রাজিলিয়ানের মনের শঙ্কা? বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারের জন্য তাই প্রতিটি ব্রাজিলিয়ান সমর্থকের এখন একটাই প্রার্থনা, যেন সঠিকভাবেই ছুরি-কাঁচি চালানো হয় নেইমারের পায়ে। যেন দ্রুত সেরে ওঠার ব্যবস্থা করা হয় ঠিক পরিচর্যায়।
নিজস্ব বিমানে বৃহস্পতিবার রিও ডি জেনেরিওতে পৌঁছেছেন নেইমার। বিমান থেকে নেমেছেন হুইল চেয়ারে করে। নেমেই চলে গেছেন মঙ্গারাটাইবার নিজস্ব ভিলায়। সামনে অস্ত্রোপচার, পুনর্বাসনের ধাপগুলো আছে। সেখানে নেইমার একা নন, আছে প্রার্থনায় থাকা পুরো ব্রাজিল। সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা নেইমার ভক্তরা তো থাকছেনই।