যন্ত্র সংগীত দিয়েই আগের তিন দিনের শুরুটা হলেও বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীতের চতুর্থ দিনের উৎসবটা শুরু হল নৃত্যে ছন্দের তালে। যেখানে অসাধারণ পারফর্ম করে উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের প্রশংসা তুলে নেন বাংলাদেশের তরুণ নৃত্য শিল্পীরা।
ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে চলছে বেঙ্গল শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসবের ৬ষ্ঠ আসর। প্রথম দিন দর্শক কিছুটা কম থাকলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে দর্শক সমাগম ছিলো বেশ সন্তুষজনক। উৎসবের চতুর্থ দিনে দর্শক শ্রোতার সেই স্রোত যেন ছাড়িয়ে গেল বিগত দিনগুলোকেও। প্রতিদিনই যন্ত্র সংগীতের মূর্ছনায় অনুষ্ঠান শুরু হলেও এদিন নৃত্যের ছন্দে দর্শকরা অন্যরকম শুরুর একটি স্বাদ পেলেন।
বাংলাদেশের তরুণ শিল্পীদের পরিবেশনাকে প্রাধান্য দিয়েই উৎসবের চতুর্থ দিনের আয়োজন শুরু হল নৃত্যের ছন্দে। শুরুতেই সুইটি দাস ও সুদেষ্ণা স্বয়ংপ্রভা করেছেন রাগ বিলাসা। এছাড়া মণিপুরি একক নৃত্য পরিবেশন করেন দুজনেই। এরপর জুয়েইরিয়াহ মৌলি আর অমিত চৌধুরী করেন ভরতনাট্যমের সূর্যোকৌতুভম ও শিবাস্তুতি। কত্থক নৃত্যের মধ্যে গুরু বন্দনা ও তারানা করেন স্নাতা শাহরিন ও তুষার।
‘নৃত্য চিরন্তন: মনিপুরি, ভারতনাট্যম, কত্থক নৃত্যার্ঘ’ শীর্ষক দুই পর্বে ভাগ করা এ পরিবেশনাটির নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন গুরু বিপিন সিংহ, পণ্ডিত বিরজু মহারাজ, শিবলী মোহাম্মদ; এবং ভাবনা, সার্বিক নৃত্য পরিচালনা ও সম্বনয়কারী হিসেবে ছিলেন শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরিবেশনা শেষে শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন বেঙ্গলের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু।
স্কয়ার নিবেদিত ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগিতায় বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব ২০১৭’ এর অনুষ্ঠান প্রচার সহযোগী চ্যানেল আই।