ময়মনসিংহে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ২৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নূরানী জর্দার মালিক শামীম তালুকদার, তার ছেলে হেদায়েতসহ ৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার সকালে এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। একই সঙ্গে আদালতে তাদেরকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে রোববার।
এদিকে কর্তব্য অবহেলার অভিযোগে এসআই সাইদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, পুলিশকে এ ব্যাপারে কোনো কিছু অবহিত করা হয়নি। তাই পুলিশ পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেননি।
পুলিশের সঠিক ব্যবস্থাপনার কারণে ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ময়মনসিংহে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রতিবাদ মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে স্থানীয়রা।
তারা বলছেন, নিজেদের বড় করার জন্য সঠিক অব্যবস্থাপনায় বাড়ির সামনে হাজার হাজার লোক ভিড় করে লম্বা লাইনে দাড় করিয়ে যাকাত দিয়েছেন নূরানী জর্দার মালিক।
তাদের অপরাধের কারণে এতগুলো মানুষ মারা গিয়েছে। তাই আইনের মাধ্যমে তাদের শাস্তির জোর দাবি জানান মানববন্ধনে থাকা স্থানীয়রা।
শুক্রবার নিজ বাস ভবনে যাকাতের কাপড় বিতরণের উদ্যোগ নেন শামীম তালুকদার। কিন্তু বিতরণে চরম অব্যবস্থাপনায় পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয় ২৭ জনের।
এভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যাকাত না দিয়ে যাকাত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিত্তবানদের প্রতি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক।