নারী-শিশু নির্যাতন দেশে একটি অন্যতম সামাজিক ব্যাধি। নানা পদক্ষেপ ও সচেতনতার পরেও নারী-শিশু নির্যাতন বেড়েই চলেছে। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গত তিন মাসে সারাদেশে ৬৫৩ নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশই ধর্ষণের ঘটনা।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট’ এ তথ্য জানায়।
এই যখন পরিস্থিতি তখন ২৪ অক্টোবর ফেনীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন। দু’পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিচারক রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন। দীর্ঘ ৪৭ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় যুক্তিতর্ক। শুরুতে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করেছেন পরে আসামি পক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করে।
বিগত কয়েক দশক ধরে যে কয়েকটি আলোচিত নারী নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে নুসরাত হত্যাকাণ্ড অন্যতম। নুসরাতের পরিবারসহ দেশের মানুষ এই মামলার রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চায় নুসরাতের পরিবার, স্বজন ও তার সহপাঠীরা, গণমাধ্যমে তারা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বলেছেন।
আইন তার নিজ গতিতে চলে, আর কোনো ঘটনার সার্বিক প্রেক্ষাপট আইনী কার্যক্রমের মাধ্যমে দেখে তা বিচার করে থাকেন বিজ্ঞ আদালত। নুসরাত হত্যাকাণ্ডের মামলাও তার বাইরে না। নিশ্চয় এই মামলায় ন্যায়বিচার আসবে বলে আমাদের ধারণা।
সেইসঙ্গে আমাদের আশাবাদ, নুসরাত হত্যা মামলার রায় সামনের সময়গুলোতে দেশের আইন ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।