চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা: এসপি-ওসির বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ

ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান‌ রাফিকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় জেলার পু‌লিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়া‌জ্জেম হোসেনসহ চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

নুসরাতকে হত্যার ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের গঠিত তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে শাস্তির সুপারিশ করে।

মঙ্গলবার রাতে ওই কমিটি পুলিশ সদর দফতরে তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছে। এ প্রতিবেদনের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা রয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ছাড়াও তৎকালীন সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন ছাড়াও সোনাগাজী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইকবাল ও মো. ইউসুফের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়াও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধেও দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া ও অপরাধীদের রক্ষার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল ফেনীর পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এর পরই অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে গত ১৩ এপ্রিল পুলিশ সদর দফতরের উপ-মহাপরিদর্শক এস এম রুহুল আমিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যেরর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

গত ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসার ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।

এ ঘটনায় তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা পিবিআইয়ে হস্তান্তরের পর এখন পর্যন্ত মামলার এজহারভুক্ত আট আসামিসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে হত্যার দায় স্বীকার করে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।