ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় ওরফে নিলয় নীল হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক দুই যুবক কাউসার এবং কামাল জঙ্গি সংগঠন আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, রিমান্ডে মুখ না খুললে তাদেরকে টিএফআই সেলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বৃহস্পতিবার মিরপুর ১০ নম্বর থেকে কাউসার হোসেন খান এবং ধোলাইপাড় থেকে কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি। রিমান্ডের প্রথম দিনে নিলয় হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ না খুললেও নিজেদের জঙ্গি গোষ্ঠি আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের নেতা মুফতি রহমানিয়ার অনুসারী বলে জানিয়েছে তারা।
পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম জানান, তারাও আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য। এদের মধ্যে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন হত্যা চেষ্টার আসামীও আছে। আগে আটক দুইজনের মধ্যে একজনকে সাক্ষীদের কেউ কেউ সনাক্ত করেছেন। আটকদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রয়োজনে টিএফআই সেলেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ব্লগার হত্যকাণ্ডের সঙ্গে কোনো না কোনো জঙ্গি গোষ্ঠি জড়িত। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) আরও জানান, আসিফ মহিউদ্দিন হত্যা চেষ্টা ঘটনায় আসামীদের জবানবন্দি নেয়া হয়েছিলো। তাদের সাথে জঙ্গি সম্পৃক্ততা ছিলো। রাজীব হত্যার ঘটনায় মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ শিট দেয়া হয়েছিলো এদের ছয়জনকে আটক করা হয়েছে এবং একজন পলাতক রয়েছে।
এদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি সিলেটের বিজ্ঞানমনস্ক লেখক-ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক দুই ভাই মান্নান রাহী ও এ এ এম নোমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সিআইডি হেফাজতে।
রাজধানীর পূর্ব গোরানের বাড়িতে ৭ আগস্ট দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে খুন হন ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় ওরফে নিলয় নীল। স্ত্রী ও শ্যালিকার সামনেই চার যুবক তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন পরেই নাহিয়ান ও মাসুদ রানা নামের দুজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তারাও আনসারউল্লাহর সদস্য বলে জানায় পুলিশ।