ক্ষত এখনও শুকায়নি। শুকায়নি স্বজনহারাদের চোখের জলও! নাম শুনলেই আঁতকে ওঠে তাদের মন । নাম তার সোহেল রানা। হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটানো রানা প্লাজার মালিক।
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল সাভার থানায় দুটি মামলা করা হয়। এর একটি অবহেলাজনিত মৃত্যু চিহ্নিত করে পুলিশের হত্যা মামলা। অপরটি ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণ করায় রাজউকের ইমারত আইনে করা মামলা।
মামলা দুটিতে সোহেল রানাসহ অন্য আসামি বজলুল সামাদ আদনান, মাহমুদুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, আনিছুর রহমান, মো. আমিনুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক খান, আলমগীর, রাসেল, মধু ও সরোয়ার কারাগারে আছেন।
আসামিদের মধ্যে জামিনে আছেন সোহেল রানার বাবা আবদুল খালেক ওরফে খালেক কুলু, মোহাম্মদ আলী খান, রেফাতউল্লাহ, আবুল হাসান, অনিল কুমার দাস, শাহ আলম মিঠু, এমায়েত হোসেন, রাকিবুল ইসলাম ও আলম মিয়া।
কশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারের নীলগিরির ছয়তলা ভবনের তিন তলার ২৭ বর্গফুটের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে রানাকে।
ঢাকা জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার আব্দুল মান্নান জানান, শেষ হাজিরা পর্যন্ত সোহেল রানা কশিমপুর কারাগারেই ছিলেন।
রানা প্লাজা ধসের পরপরই আলোচনায় আসে যুবলীগ নেতা রানার নাম। ভবন ধসের পর গা ঢাকা দেন তিনি। বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় যশোরের বেনাপোল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। প্রথমে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। পরে পাঠানো হয় কশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগারে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়েন সাড়ে ৫ হাজার পোশাকশ্রমিক। এ ঘটনায় ১,১৩৪ জনের মৃ ত্যু হয়। আহত ও পঙ্গু হন প্রায় দুই হাজার মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ২,৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।