সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভোলা থেকে বিভিন্ন রুটে মেঘনা নদীর ডেঞ্জার জোনে চলছে নৌযান। প্রতিদিন এসব রুটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন হাজারো মানুষ।
বিআইডাব্লিউটিএ-এর নির্দেশ অনুযায়ী মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৮ মাস ভোলার মেঘনার ১৯০ কিলোমিটার এলাকা ডেঞ্জার জোন হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে। সি সার্ভে ছাড়া সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় দিয়ে চলছে ফিটনেস ও অনুমোদনবিহীন ছোট লঞ্চ ও ইঞ্জিন চালিত ট্রলার।
বিশেষ করে ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট, দৌলতখান-মির্জাকালু থেকে চর জহিরুদ্দিন ও লক্ষ্মীপুরের আলেকজ্যান্ডার-রামগতি, তজুমদ্দিন ও চরফ্যাশন থেকে মনপুরা এবং মুজিবনগর, কুকরী-মুকরী, ঢালচর, পটুয়াখালীর বাউফলসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল ও উপ-দ্বীপগুলোতে চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে কয়েক লাখ মানুষ।
সি-ট্রাক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জরুরি দরকারে বাধ্য হয়েই নৌপথে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা। যথেষ্ট পরমাণে সি-ট্রাক ও ফেরি চালু থাকলে এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানান তারা।
অনিরাপদ লঞ্চ চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
প্রতিষ্ঠানটির নৌ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. নাসিম মিয়া জানান, ডেঞ্জার জোনে যেসব অবৈধ নৌযান চলাচল করে সেগুলোর ব্যাপারে ইতোমধ্যে একাধিকবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আগামী সপ্তাহে আবারও মোবাইল কোর্ট চালু করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে আটকের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর আগেই ভোলার এসব ডেঞ্জার জোনে নৌ-যান চলাচল বন্ধ ও সরকারী সি-ট্রাক অথবা নিরাপদ লঞ্চ চালু হবে এ প্রত্যাশা জেলাবাসীর।