ফিফা নৈতিক কমিটির ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেব্রুয়ারির ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ইউয়েফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনি। দুর্নীতির দায়ে টালমাটাল ফিফার পরবর্তী উত্তরসূরী হিসেবে দেখা হচ্ছিলো সাবেক এ ফরাসি কিংবদন্তীকে। তবে গত ০৯ অক্টোবর ফিফা নৈতিক কমিটি সেপ ব্ল্যাটার ও মিশেল প্লাতিনিকে ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিলে, ইউরোপ ফুটবল কর্তার সে আশা ধাক্কা খায়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে অবৈধ ভাবে প্লাতিনি ব্ল্যাটারের কাছ থেকে ১.৩৫ মিলিয়ন ইউরো নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
৬০ বছর বয়সি প্লাতিনি ফ্রান্স নিউজ লি মন্ডিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নিষেধাজ্ঞার ব্যপারে বলেন, এটা আমার জন্য এতটাই লজ্জার ছিলো সে কেউ আমার মুখে কাদা ছিটিয়ে দিলো।
সময়টা ৯০ দিনের জন্য হলেও এই সময়টা খুব কষ্টকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা কেসটি ভালো ভাবে দেখছে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যাবো।
এর আগে, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের এক দিন আগেও না দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ব্ল্যাটার। এরপরই ফিফা নৈতিকতা কমিটি ৯০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করে ব্ল্যাটার ও প্লাতিনিকে।
তার কিছুদিন আগে বাধ্যতামূলক ছুটিতে যাওয়া ফিফা মহাসচিব জেরোম ভালকেও একই সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা নৈতিক কমিটি।
নির্বাচনে আরেক প্রার্থী ফিফার সাবেক সহসভাপতি সাউথ কোরিয়ার ধনকুবের চুং মং-জুনকেও নিষিদ্ধ করা হয় ছয় বছরের জন্য। সেই সঙ্গে তাকে ১ লাখ সুইস ফ্রাঁ (১ লাখ ৩ হাজার মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়।