কর্মহীনতা এবং সহকারী পরিচালকদের মাঝপথ থেকে সরিয়ে না দেওয়ার বিষয় নিয়ে সরগরম চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালকদের সংগঠন সিনে ডিরেক্টরিয়াল এসোসিয়েটস অফ বাংলাদেশ (সিডাব) নির্বাচন। নির্বাচনে জয় পরাজয়ে বিষয়টি ফ্যাক্টর হয়ে দাড়াবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এ নিয়ে এফডিসিতে চলছে আলোচনা। পরিচালক সমিতির সামনে তফসিল অনুযায়ী শোভা পাচ্ছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা দুই পরিষদের প্যানেলের পরিচিতি। তবে প্রায় কাজহীন এফডিসিতে নির্বাচন হলেও সহকারী পরিচালকদের মুখভঙ্গী বলে দিচ্ছে কেবল নির্বাচন সব নয় কাজ আসল।
পরিচালক ও শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর চলচ্চিত্র অঙ্গনের বছর শেষ হতে চলেছে সহকারী পরিচালকদের নির্বাচনে। শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯৪ জন। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পরিচালক শাহ আলম কিরণ।
নির্বাচনে সহকারী পরিচালকদের কর্মহীনতা ও কাজের মাঝখানে হঠাৎ বদল বিষয়টি জয়-পরাজয় নির্ধারক হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভোটাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক এক ভোটার বলেন, ‘আমরা কাজের নিশ্চয়তা চাই। এছাড়া কাজ করার মাঝে একজন সহকারী পরিচালককে সরিয়ে নতুন কাউকে নেওয়ার প্রবণতা যে রুখতে পারবে তাকে আমরা ভোট দেব।’
আরেক ভোটার বলেন, ‘এছাড়া গ্রন্থাগার এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালার দিকে নজর দেওয়া উচিত। আধুনিক টেকনোলজির সঙ্গে সদস্যদের পরিচিত করানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। পাশাপাশি সংগঠনের সদস্য অথচ কাজ নেই যাদের তাদের কাজের ব্যাপারে ভূমিকা রাখা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন সহকারী পরিচালক জানালেন, নির্বাচনই সব নয়, কাজই আসল। আমরা নিয়মিত কাজের নিশ্চয়তা চাই।
এ বিষয়ে ফারুক-মনির পরিষদের সভাপতি পদপ্রার্থী এসআই ফারুক চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা এসব বিষয়ে জোর দেব।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সিডাব উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করেছি। এখানে এক সময় ভালো করে বসার ব্যবস্থা ছিল না, আমি সেটা করেছি। রুমগুলো সংস্কার করেছি। পানির ব্যবস্থা করেছি। প্রতি বছর পিকনিকের আয়োজন, ইফতার মাহফিল, সাধারণ সভায় মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ অনেক বিষয় সংযোজন করেছি। এখন সাধারণ ভোটাররা যদি আমাকে ভোট দিয়ে পুনরায় নির্বাচিত করে তাহলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।’
অন্যদিকে খায়রুল-রতন পরিষদের সভাপতি পদপ্রার্থী খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘আগের প্যানেল এ বিষয়ে সাংগঠনিক ভাবে তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি। প্রবীণ সহকারী পরিচালকরাও যথাযথ সম্মান পাননি। আমরা এ বিষয়ে অগ্রাধিকার রেখেছি। তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এই সংগঠন নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান কমিটির নানা অনিয়মের কারণে সংগঠনের শৃঙ্খলা নষ্ট হয়েছে। আমি প্রায় ৭ বছর ধরেই সিডাবের সাথে আছি কিন্তু নির্বাচনে এই প্রথম অংশ নিলাম। আমি নির্বাচিত হলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে যারা কষ্টে আছে, তাদের আর্থিক সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখবো। অসুস্থদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। সদস্যদের জন্য একটি পাঠাগার তৈরি করবো। সর্বোপরি পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলে যাদের কাজ নেই তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো।’