নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনায় রাষ্ট্রপতির কাছে ৪ দফা প্রস্তাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
৪ দফা প্রস্তাবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতি চালু চালু করার প্রস্তাবনা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্রস্তাবনা নিচে দেওয়া হলো:
ক. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮ এর বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগদান করবেন।
খ. প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি যেকোন উপযুক্ত বিবেচনা করবেন, সেই প্রক্রিয়ায় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ প্রদান করবেন।
গ. প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে সম্ভব হলে এখনই একটি উপযুক্ত আইন প্রণয়ণ অন্যান্য অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে। সময় সল্পতার কারণে আগামী নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠনের ক্ষেত্রে তা সম্ভব না হলে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠনের সময় যাতে এর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এর নির্দেশনার আলোকে এখন থেকেই সে উদ্যোগ গ্রহন করা।
ঘ. সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বর্তমানে বিরাজমান সকল বিধিবিধানের সাথে জনমানুষের ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করার স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ই-ভোটিং’ এর প্রবর্তন করা।
নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ আলোচনায় অংশ নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।