একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একদিকে যেমন উৎসবের আমেজ বইছে, অন্যদিকে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কথাও প্রকাশ করছে, করেছে নান অভিযোগ। এর মধ্যেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিজের দৃঢ়তার কথা আরেকবার উল্লেখ করেছেন।
বৃহস্পতিবার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে তাদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন: সমগ্র দেশে নির্বাচনের একটি সুবাতাস, একটি অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচনমুখী আচরণ লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত প্রার্থীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে এবং তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে তা প্রতিফলিত হচ্ছে। তারা অনবরত সভা-মিছিল করে যাচ্ছেন এবং প্রার্থীরা তাদের ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন।
দেশব্যাপী নির্বাচনী পরিবেশ একটি উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করেছে। এর মাধ্যমে একটা নতুন সরকার গঠন হবে ৩০ তারিখের পর, সেই পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেটার নিয়ামক হিসেবে আপনারা যে যার অবস্থান থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আমরা শুরু থেকেই লক্ষ্য করেছি, কিছু ভুলভ্রান্তি থাকলেও নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বেশ আন্তরিক। এমনকি সর্বশেষ বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চার থানার ওসি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সেবাস্টিন রেমাকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্যদিকে ফরিদপুরের এডিসি সাইফুল হাসানকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের এসব সিদ্ধান্তকে আমরা ইতিবাচক বলেই মনে করি। এর পাশাপাশি এসব সিদ্ধান্ত এবং সিইসি এমন দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করায় সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আমরা আরও আশাবাদী হয়ে উঠছি।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। বুধবার এফবিসিসিআই আয়োজিত ব্যবসায়ী সম্মেলনে তিনি বলেছেন: যেনতেন নির্বাচন নয় বরং জনগণের সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় আসতে চায় আওয়ামী লীগ।
আমরা প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করছি। যেনতেন নির্বাচনের বদলে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত নতুন সরকার বাংলাদেশকে আরও সামনের দিকে নিয়ে যাবে বলে আমরা আশা করি। এজন্য সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থী-সমর্থকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে যথাযথ দায়িত্ব পালনে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের দৃঢ় পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। যা তাদের আজকের বক্তব্যের মধ্যে উঠে এসেছে।