স্বাধীনতা ইস্যুতে তাইওয়ানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর দিনই এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো।
তাইওয়ানের সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীন বিরোধী ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) জয় লাভ করেছে এবং এই প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ৫৯ বছর বয়সী তাই ইং ওয়েন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় চীন থেকে তাইওয়ানের আলাদা হওয়ার পথ সুগম হয়েছে। ডিপিপি দলটি তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। আর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তাই ইং ওয়েন ‘এক চীন’ নীতির বিরোধী।
নির্বাচনে চীন বিরোধী একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে স্বাধীনতা ইস্যু আরো বড় করে মাথা চাড়া দিতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই নিজেদের ‘রুদ্র মূর্তি’ দেখালো চীন।
চীনের তাওয়ায়ান সম্পর্কিত অফিসের এক সংবাদ বিবৃতিতে বেইজিং জানিয়েছে, বিচ্ছিন্নবাদী কিছু লোক তাইওয়ানের যে স্বাধীনতা চাইছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় আমাদের অবস্থান অটল।
আর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তাইওয়ান ইস্যু চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
ফলাফল ঘোষণার পর তাই ইং ওয়েন বলেছেন, ‘এই বিজয় প্রমাণ করে তাইওয়ানবাসী গণতন্ত্রের প্রতি বদ্ধমূল, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই রকম একটি সরকারই জনগণ আশা করেন।’
চীন সঙ্গে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আরো বলেছেন, ‘দুই পক্ষকে সম্মিলিতভাবে একটি শান্তিপূর্ণ রাস্তা বের করতে হবে। আর তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক অবস্থানকেও সম্মান দিতে হবে।’