একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশব্যাপী সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের প্রচারণার গাড়িবহরে হামলার খবর এখন প্রায় প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম হয়ে উঠছে। ক্রমাগতভাবে আসছে এসব সহিংসতার খবর।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তীর ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তবে তারাই এসব করছে, নিশ্চিতভাবে এমনটা বলা যাচ্ছে না। অনেক জায়গায় বিএনপি নেতাকর্মীরাও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলার মধ্যদিয়ে বড় ধরণের সহিংসতা শুরুর পর ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামালের গাড়িতেও হামলা হয়েছে।
এছাড়া নোয়াখালী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী জয়নুল আবদীন ফারুকের গাড়িবহরেও আজ (রবিবার) হামলা হয়েছে।
দেশজুড়ে অহরহ এসব সহিংসতার ঘটনা নির্বাচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন সহিংসতার ঘটনা কোনোভাবেই আমাদের কাম্য নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সকল পক্ষকে সহিংসতার পথ থেকে ফিরে আসতে হবে। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে আরও কার্যকর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।
ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস। সকল রাজনৈতিক দলকে এই মাসের অর্জনের গুরুত্বকে স্মরণ রাখতে হবে। বিজয়ের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে সবাই সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। সকল সহিংসতা বর্জন করে ৩০ ডিসেম্বরের ভোটগ্রহণকে সুষ্ঠু ও স্বার্থক করে তুলতে সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।