আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় যেখানে-সেখানে কোরবানির পশু জবাই করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক জানান, কোরবানির পশু জবাইকারীদের নামের তালিকাও চূড়ান্ত করবে স্থানীয় সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় স্কুল ও খেলার মাঠ এবং উন্মুক্ত স্থানসহ কিছু নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করতে সারাদেশের ৩২৩টি পৌরসভা ও ১১টি সিটি কর্পোরেশনকে এ বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। একটি এলাকার লোকেরা তাদের কোরবানির পশু একটি স্থানে জড়ো করে জবাই করতে পারেন।
সচিব বলেন, নির্দিষ্ট একই এলাকার অনেক পশু জবাই হলে নগর বা পৌর কর্তৃপক্ষের বর্জ্য সরাতে সুবিধা হবে। সুবিধা হবে চামড়া বেচাকেনাতেও। বিগত ঈদে দেখা গেছে, বাসার সামনের রাস্তায়-গলিতে পশু জবাইয়ের কারণে অনেকদিন ধরে দুর্গন্ধ-ময়লা ছড়িয়েছিল। এবার সে পরিস্থিতি এড়াতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে জনগণকে বাধ্য করা হবে না বলেও জানান সচিব।
আন্তমন্ত্রণালয় সভায় নৌপথ ও রেলপথের যাত্রী সাধারণের ভ্রমণকালীন সময়ে যে বর্জ্য তৈরি হয় তার ব্যবস্থাপনা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ট্রেন ও নৌযান থেকে সরাসরি পায়ুবর্জ্য খোলা স্থানে না ফেলার বিষয়েও সভায় সিদ্ধান্ত হয়। পরিবেশ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সচিব।