বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশন দাম নির্ধারণ করে দিলেও দেশের কোথাও এই দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে না। দাম নির্ধারণ করার পরদিন বিভাগীয় পর্যায়ে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একেক অঞ্চলে একেক দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা এতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন এবং তাদের বাড়তি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এজন্য উৎপাদনকারীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্রাফিক কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার খোলা চিনি প্রতি কেজি ৭৪ এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৭৫ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশন।
এরপরও দেশে চিনির বাজার অস্থির থাকার জন্য উৎপাদকদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন চট্টগ্রামের খুচরা ব্যবসায়ীরা।
বরিশালের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজি প্রতি ৪/৫ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে।
খুলনায় পাইকারি বাজারে গত এক সপ্তাহে বস্তা প্রতি চিনির দাম ২০০ টাকা করে বেড়েছে। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দরে।
রংপুরেও নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি না হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রাজশাহীতে চিনি ও তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে নেই।
৫ই সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকে দেশের চিনির বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে ক্রেতারা বলছেন, শুধু দাম নির্ধারণ নয়; প্রয়োজন বাজার মনিটরিং।