চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নিরাপদ সড়ক গড়তে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক গড়তে জনসচেতনতাসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

সোমবার রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন: বাংলাদেশ পুলিশ দেশ মাতৃকার সেবায় দায়িত্ব পালন করছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। বিএনপি-জামায়াতের পেট্রোল বোমার সময় পুলিশ সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। সেসময় ২৯ জন পুলিশ সদস্য প্রাণ হারিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, অগ্নিসন্ত্রাস দমনে পুলিশ যে ভূমিকা রাখছে তা প্রশংসনীয়। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ বিশ্বে একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

নারী পুলিশদের অবদানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন: আমাদের নারী পুলিশরা বিশেষ অবদান রাখছে। জাতিসংঘ থেকে নারী পুলিশরা বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। ৯৯৯ সার্ভিসের কারণে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে পুলিশের কার্যক্রম সহজ হয়েছে। পুলিশের দক্ষতা সময়ের সাথে বাড়ছে।

তিনি বলেন: ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে পুলিশের জন্য ১১ হাজার ৯০০টি পদ সৃষ্টি করেছিলাম। পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে পুলিশে প্রায় ৯১ হাজারের বেশি পদ সৃষ্টি করেছি। পদোন্নতির জটিলতা দূর করতে সুপার নিউমারিক পদ সৃষ্টি করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন: পুলিশকে বহুমুখীভাবে গড়ে তুলছি যাতে মানুষ সব ধরণের সেবা পায়। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে। শুধু গড়ে তোলা নয় তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সারাদেশে ৩০টি ট্রেনিং সেন্টার গঠন করা হয়ছে।

পুলিশদের কল্যাণে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ সদস্যদের কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাদের পরিবারকে ৮ লাখ টাকা। আর আহত ৪ লাখ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবারের জন্য রেশন প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা অবসরে রয়েছেন তাদের জন্যও রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন: আইনশৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থকে আমরা কোনো ব্যয় বলে মনে করি না। এটাকে আমরা জনগণ সেবা পাচ্ছে বলে ধরে নেই। কারণ জনগণ পুলিশের দ্বারা উপকৃত হচ্ছে।

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন: আপনাদের হাতে কোনো নিরীহ জনগণ যাতে নির্যাতনের শিকার না হয়। কেউ নির্যাতনের শিকার হয়ে আপনাদের কাছে আসলে তারা যেনো সেবা পায়। জনগণ এটাই আশা করে। পুলিশ বাহিনী হবে জনবান্ধব পুলিশ। সেভাবেই আপনারা নিজেদের গড়ে তুলবেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন: পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সকল পর্যায়ে পুলিশদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। পুলিশদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি।