নিরাপদ সড়ক পেতে পথচারীদের সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলছেন: সড়কে যে অ্যাক্সিডেন্টগুলো হলো, কিভাবে হলো? যারা দুর্ঘটনায় নিহত হলো তারা পথের কোথায় ছিল? এগুলো একটু আমাকে বলেন, প্লিজ বলতে হবে। আমার তো ধারণা ছিল ওই ঘটনার (নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাধারণ শিক্ষারথীদের আন্দোলন) পর পথচারীরাও সচেতন হবে। কেন হয়নি, জবাব দেন?
গণভবনে সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন: আপনারাই পত্রিকায় দিচ্ছেন, পত্রিকায় দেখাচ্ছেন; গাড়ি চলছে এর মধ্যেই ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে শিক্ষিত মানুষ চলছেন! এভাবে চলতে গিয়ে যদি অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে কেউ মারা যায়, আপনি কাকে দোষ দিবেন?
চার দিনের সৌদি আরব সফর শেষে গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একদিন পর আজ তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সফরের বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: ‘পাশে ফুটপাত কিংবা ফুটওভারব্রিজ রয়েছে, তারপরও বাচ্চা নিয়ে কেউ যদি দৌঁড়ে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করে; আর দুর্ঘটনায় পড়ে, তার দায় কে নেবে, সে নেবে? সেটা আগে বলেন…।’
পরিবহন শ্রমিক, শ্রমিক নেতা কিংবা ড্রাইভার, পরিবহন মালিকের চেয়ে পথচারীর সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন: রাস্তায় যারা চলছেন তাদের স্বভাব পরিবর্তন হচ্ছে না। আমি পরিষ্কারভাবে বলি, যারা রাস্তায় চলাচল করেন; তারা নিজেরা যদি সচেতন না হন তাহলে কিভাবে ঠেকাবেন? আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, এই অ্যাক্সিডেন্টগুলোর কারণ খুঁজে বের করেন। কার দোষে কী?
নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সরকারের সমর্থন ছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন: স্কুল ছাত্ররা আন্দোলন করেছিল, সেখানে দোষটা ড্রাইভারের ছিল। এরপর যে কয়টা দুর্ঘটনার ছবি আমি দেখেছি, কোনটাতে রাস্তার মাঝখান দিয়ে দৌঁড়ে পার হওয়ার চেষ্টা করছে, একটা গাড়ি আসছে কারো কোন মাথাব্যাথা নেই সাথে সাথে অ্যাক্সিডেন্ট করছে। এতে কাকে দোষ দিবেন সেই ব্যাখ্যাটা আগে আনেন।