ম্যাচ ততক্ষণে ময়নাতদন্ত ঘরে। পাকিস্তান কেনো হারল, কীভাবে হারল; চলছে এই আলাপন। ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজার অতিথি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। দুজনে এক পর্যায়ে নিরাপদে বাড়ি যাওয়ার প্রশ্নে একে-অপরকে ‘বিদ্ধ’ করলেন।
‘যাক টুর্নামেন্ট তো শেষ, অন্তত তোমরা বাড়ি ফিরে যাও নিরাপদে’ -কিছুটা ক্ষোভের সঙ্গে সরফরাজকে এভাবে ‘শুভকামনা’ জানান রমিজ।
সরফরাজও কম যান না। প্রতিউত্তরে বলেন, ‘রমিজ ভাই আপনারও যাত্রা শুভ হোক!’
রমিজ স্টারস্পোর্টসের ধারাভাষ্য প্যানেলে আছেন। পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচে সারাক্ষণই তাকে অস্থির মনে হয়েছে। বল আকাশে উঠলেই চেঁচিয়ে বলতে শোনা গেছে, ‘নিশ্চয়ই কেউ ধরে ফেলবে।’ আবার যখন তার দল চাপে, তখন বলতে শোনা গেছে, ‘দল এই চাপ থেকে বের হয়ে আসবে।’ কিন্তু একটা সময় রমিজের গলা নিচু হয়ে যায়। তার দেশের ছেলেরা ৩৭ রানে হেরে তাকে ‘শান্ত’ করে দিয়ে যায়।
ধারাভাষ্যকাররা পেশাদারিত্বের খাতিরে মাইক্রোফোন হাতে পক্ষপাতিত্বমূলক মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু নিজ দেশের খেলা হলে অনেকেই সেসবের ধার ধারেন না। এটা অস্বাভাবিক কোনো ব্যাপার নয়। ভারতের সুনীল গাভাস্কার থেকে শুরু করে বাংলাদেশের আতহার আলী খানকেও অনেক সময় নিজ দেশের হয়ে কথা বলতে শোনা যায়।
বুধবার এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে রমিজ শেষ পর্যন্ত নিজ দেশের ছেলেদের পক্ষে আর কথা বলতে পারেননি। তাই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সরফরাজের কাছে সরাসরি জানতে চান, দলের এমন হারের কারণ কী?
জবাবে সরফরাজ বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা ভালো করতে পারিনি। খেলোয়াড় হিসেবে আমি নিজেও খারাপ করেছি। আরও ভালো করা উচিত ছিল। ম্যাচের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে ছিলাম।’