থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মধ্যে নিরাপদ অঞ্চল গঠনে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে একে অন্যকে দায়ী করছে থাইল্যান্ডের জান্তা ও মালয় মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদী দল। দশকব্যাপী বিদ্রোহের সমাধান টানতে দুটি দেশের মধ্যে নিরাপদ অঞ্চল বিষয়ক এই আলোচনা অব্যাহত ছিলো।
সম্প্রতি বোমা হামলার ঘটনায় একজন সৈনিক ও পুলিশ কর্মকর্তা মারা যাওয়ার পরে নিরাপদ অঞ্চল গড়ার বিষয়টি নিয়ে মালয়েশিয়ায় গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হওয়া সংলাপ মালয়েশিয়ার পূর্ণ সম্মতি ছাড়াই শেষ হয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই এলাকায় অন্তত ৬ হাজার ৫০০ জন প্রাণ হারিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক এই হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
এই নিরাপদ অঞ্চল নিয়ে একেক দল একেকরকম কথা বলছে। ‘মারা পাটানি দল’ বলেছে, নিরাপদ অঞ্চল গড়ার সিদ্ধান্তে আরও খানিকটা দেরি হবে। কারণ থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে কিছু বিবরণ সন্তোষজনক ছিলো না। তবে তার মানে এই নয় যে সংলাপ ব্যর্থ হয়েছে। এই দলের একজন নেতা আবু হাফেজ আল-হাকিম বলেছেন, সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া, সেটা থেকে পালিয়ে যাওয়া নয়।
অন্যদিকে এ বিষয়ে থাইল্যান্ডের প্রধান আলোচক বলেছেন, থাই সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিদ্রোহীরা নিরাপদ অঞ্চলের জন্য প্রস্তুত ছিল না। তবে বিদ্রোহীরা রাজি না হলে, মানুষের অংশগ্রহণে এই কাজ করতে অনেক দেরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন জেনারেল আকসারা কের্দফল। তারপরও সংলাপ চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রস্তাবিত নিরাপদ অঞ্চল যৌথভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী দল ও থাই কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে হবে বৌদ্ধপ্রধান থাই রাজ্যে। ১৯০৯ সালে সংযুক্ত হওয়ার আগে এই তিনটি প্রদেশে মালয় মুসলিমরা থাকতো। নিরাপদ অঞ্চলে কেউ অপরকে আক্রমণ করবে না।
তবে বিদ্রোহীদের উপর ভালো নিয়ন্ত্রণ থাকা বারিসান রিভোলুসি নাসিওনাল (বিআরএন) দল এই সংলাপে অংশ নেয়নি। বিআরএন নেতা পাক ফাকিহ মনে করেন, এই নিরাপদ অঞ্চল গড়ার প্রচেষ্টা সৈনিকদের দ্বারা বিদ্রোহীদের মুখোশ উন্মোচন করার প্রচেষ্টা হতে পারে।
আরেকটি বিদ্রোহী দলের নেতা পাটানি ইউনাইটেড লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নেতা বলেছেন, সরকারের নিরাপদ অঞ্চল বিষয়ক আলোচনা তিনি সহজভাবে নেননি। তবে সহযোগিতার ব্যাপার আসলে তিনি অবশ্যই সেটা করবেন।