বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ তাঁর নিজস্ব স্বকীয়তা, চেতনা এবং বিশ্বাসের জায়গা থেকেই জীবনচারিত হয়ে আসছে। আমরা যা তাই আমাদের সংস্কৃতি, এখানে ‘আমরা যা’ বলতে বুঝানো হয়েছে আমাদের জীবনযাপন অর্থাৎ জীবনকে পরিচালিত করতে যে সব বিষয়ের সাহায্যে আমরা পরিচালিত হয়ে থাকি তাহাই আমাদের সংস্কৃতি। আমাদের চালচলন, কথাবার্তা, পোশাক, অনুষ্ঠান, পার্বন, ধর্মীয় আচারাদি ইত্যাদি সমূহের সম্মিলিত রূপকে বুঝানো হয় সংস্কৃতি হিসেবে। আমাদের সংস্কৃতির রয়েছে এক ঐতিহাসিক ঐতিহ্য, যে সব ঐতিহ্যের বিশেষত্বের কারণেই বাঙালি জাতিকে সহজেই অন্যদের থেকে আলাদা ভাবে সমগ্র বিশ্বে ফুটিয়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শুধু কি তাই, সংস্কৃতির প্রবাহমান ধারাকে টিকিয়ে রাখতে বাঙালি জাতি জীবন দিতেও পিছপা হয় নি।ভাষার জন্য জীবন দিয়ে শহীদ হয়ে ভাষার মর্যাদাকে টিকিয়ে রেখে সংস্কৃতির মর্যাদা দিতে বাঙালি বদ্ধপরিকর ছিল বিধায় তৎকালিন সরকারও ভাষার দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল।বাঙালি জাতির জীবনে সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহু পুরনো। সবুজ, শ্যামল এই সোনার বাংলায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কোন ঘাটতি নেই। তাই, সংস্কৃতি বাঙালির জীবনের অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। আর বাঙালির সংস্কৃতির ধারাকে টিকিয়ে রাখতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বলতে বুঝানো হয়, বহুবছর ধরে উদযাপিত হয়ে আসায় এক সময় সর্বসাধারণের নিকট সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়া কোন ঐতিহ্য বা প্রথা বা সিস্টেম।বহুজাতিক সংস্কৃতির অন্যতম উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশ। অসাম্প্রদায়িক এই দেশে সকল ধর্মের, গোত্রের, বর্ণের, জাতির লোকজন তাদের স্ব-স্ব রীতিতে অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।অনুষ্ঠানের দাওয়াত পর্বেও দেখা যায়, অন্যান্য গোত্র বা ধর্মের লোকজনের সরব উপস্থিতি। সুপ্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক চর্চার ইতিহাস প্রতিষ্ঠিত। তবে সুলতানি শাসনামলে সংস্কৃতির ব্যাপক বিকাশ ও প্রভূত উন্নতি সাধন হয়। ইংরেজি শাসনামলে বৃটিশ সংস্কৃতির ছোঁয়া অনেকটা সংযোজিত হয় উপমহাদেশের সংস্কৃতির লটে।তবে পাকিস্তান আমলে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছাড়া তেমন পরিবর্তন চোখে পড়েনি। স্বাধীন বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তেমন পরিবর্তন হয়নি, তবে ক্রমশই আমাদের সংস্কৃতির উপাদানগুলো বিভিন্ন কারণে হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে উৎসব পালনের সময় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকে অনুষ্ঠান বলয়। আচ্ছা একবার ভাবুন তো, হুমকি কিংবা আক্রমণের ভয় নিয়ে কখনো কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করা যায়, অথচ তাই আজ পরিলক্ষিত হচ্ছে আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। উৎসবের আনন্দ উপভোগের জন্য সাবলীল এবং নিরাপদ পরিবেশ প্রয়োজন যার জন্য জনসাধারণের সহযোগিতা দরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষে কখনোই তা সম্ভবপর হয়ে উঠবে না যদি না জনগণ পাশে থাকে।
বাঙালি জাতির জীবনে পয়লা বৈশাখ আসে প্রাণের বার্তা নিয়ে। এটি বাংলা বছরের প্রথম দিন এবং সরকারি ছুটির দিন। এ দিবসটিকে যথাযথভাবে পালনের জন্য সরকারি এবং বেসরকারিভাবে নানা রকমের উদ্যোগ নেওয়া হয়। রমনার বটমূলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। বুলবুল ললিতকলা একাডেমী, উদিচী সাংস্কৃতিক সংগঠন, ছায়ানট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা র্যালীর আয়োজন করে থাকে। র্যালীতে ব্যানার, ফেস্টুন, মুখোশ সাথে ভুভুজেলার সহিত বাঁশিও বাজানো হয়ে থাকে। দেশব্যাপী আয়োজন করা হত বৈশাখী মেলার। এ সব মেলাতে দেশজ সব ধরণের পণ্যও পাওয়া যেত। ছোট ছেলেমেয়েদের রকমারি থেকে শুরু করে গৃহস্থালি সকল ধরনের পণ্যও পাওয়া যেত মেলায়। প্রিণ্ট মিডিয়াগুলি দিবসটির প্রতিপাদ্য তুলে ধরে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলি দিবসটির বিশেষত্ব তুলে ধরে টকশো, নাচ, গান, নাটক এবং মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে অনুষ্ঠানগুলির তথা উৎসবের ভাবগাম্ভীর্য দিন দিন তলানির দিকে যাচ্ছে। উগ্রপন্থিদের হামলার হুমকি এবং মাঝে মাঝে কয়েক জায়গায় হামলার দৃশ্যমান অবস্থা দেখা দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও আনন্দের স্তুতি ততটা পরিলক্ষিত হয় না।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, যতই দিন অতিবাহিত হচ্ছে অনুষ্ঠানগুলোর মাহাত্ন্য কেমন যেন লোপ পেয়ে যাচ্ছে। কেমন যেন একটা ভীতিকর পরিবেশ পরিস্থিতি বজায়মান থাকে জনসাধারণের মনে অনুষ্ঠান উদযাপনের সময়। রমনার বটমূলের বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনা সচেতন মহলের কাছে অজানা নয়। বৈশাখী মেলা উপলক্ষ্যে টিএসসির ভয়াবহ নিপীড়ন জনগণের কাছে এখনো স্পষ্ট। এ বিষয়গুলোর সঠিক সুরতহাল এখনো অস্পষ্ট। সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণের মনে ভীতির সঞ্চার হওয়া অসম্ভবের কিছুই নয়। গ্রামেগঞ্জেও পূর্বের ন্যায় সুষ্ঠু পরিবেশ বিদ্যমান নেই। এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসন অবহিত বিধায় অনুষ্ঠানের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রেও কড়া নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এরই মধ্যে এবারের পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলার পরে সারা বাংলাদেশে ঈদের ময়দানে বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হয়। পূজার সময়েও লক্ষ্য করা যাচ্ছে অনুষ্ঠানের জন্য সময় নির্ধারণ করে থাকে প্রশাসন। এ রকম ধর্মীয় উৎসবে নিরাপত্তা প্রদান মানুষের উৎসবের মাত্রাকে কখনোই পরিপূর্ণতা দিতে পারে না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক রাতে একদল যুবক মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য নির্মিত শতাধিক চিত্রকর্ম ও মুখোশ ভেঙ্গে দিয়েছে। নজিরবিহীন ঘটনায় থমকে গেছে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের কার্যক্রম, স্থবির হয়ে পড়েছে উৎসাহ উদ্দীপনা। জাতীয় দিবস উদযাপনের পূর্বে এ রকম হামলা বাঙালি সংস্কৃতির উপর মারত্নক আঘাত। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই প্রথম উপাচার্যের বাসভবনে যে ভয়াবহ কায়দায় হামলা চালানো হয়েছে তা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ। ন্যাক্কারজনক এবং পৈশাচিক কায়দায় সংঘটিত হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের নমুনা। হামলাটি এমন সময়ে চালানো হল যখন বাংলার মানুষ পয়লা বৈশাখ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কাজেই, হামলার মর্মার্থ বুঝার জন্য খুব বেশি জ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই। সাধারণ মানুষকে ভয়ের মধ্যে রাখা, বাঙালির সংস্কৃতিকে জাদুঘরে রাখার অপপ্রয়াস ব্যতিরেকে আর কিছু নয়। তবে এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও যৌক্তিক ভূমিকার কোন বিকল্প নেই। রাষ্ট্রকে জনগণের নিরাপত্তা প্রদানে আরো বেশি বিচক্ষণ ও কৌশলী হতে হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রশাসন কেন অপতৎপরতা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না বা নিলেও সেটি তো প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। যদি তৎপরতা ক্ষতিগ্রস্থতা কমাতে পারত কিংবা জনমনে আস্থা আনতে পারত তাহলে বারংবার এমন হত না।সুতরাং প্রশাসনের প্রায়োগিক ব্যর্থতা কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী দলগুলো যদি শক্তি এবং কৌশলের বিচারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী থেকে আরো সুচতুর হয় তাহলে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।তা না হলে, সংস্কৃতির যে লালন এবং চর্চার ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের সুনাম বিশ্বব্যাপী দিন দিন সেটি ভাটার দিকে ধাবিত হবে নিঃসন্দেহে। এ সব বিষয়ে জনবান্ধব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে কেননা সকল শ্রেণির মানুষের সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থতা তথা ভয়ের সংস্কৃতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। জঙ্গীবাদের কারণগুলো মূলোৎপাটনের মাধ্যমে পয়েন্ট ধরে ধরে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তাহলেই জনমনে শান্তি এবং স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভবপর হবে।
এ সকল উৎসব বা অনুষ্ঠানে যে ধরনের অপরাধ হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হল ইভটিজিং, উক্তত্য করা, শারীরিকভাবে শ্লীলহানিতা ঘটানো, ছিনতাইয়ের ঘটনাও অহরহ ঘটে থাকে। বিশেষ করে মেয়েদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার যে প্রচেষ্টা প্রতিনিয়ত পরিলক্ষিত হচ্ছে সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ উত্তরণে আমরা কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ী করতে পারব না। কেননা প্রয়োজনের তুলনায় নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা অপ্রতুল। তাছাড়া, পুলিশকে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি এবং রাজনীতিবিদদের প্রটোকলের জন্য অধিকাংশ সময়ই ব্যয় করতে হয়। দক্ষতার বিবেচনায় অবশ্য পুলিশকে দোষারোপ করা যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুলিশের সন্নিকটেই অপরাধীরা অপরাধ করে ফেলছে।অথচ, পুলিশ কিছু বুঝে উঠার আগেই অপরাধীরা জায়গা পরিবর্তন করে থাকে।এখন সরকার হয়তবা অপরাধীদের অপরাধ করার সুযোগ কমিয়ে দিয়ে কিংবা ক্ষতিগ্রস্থতা কমানোর স্বার্থে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানের স্বল্পতা, পূজায় ধরাবাঁধা নিয়ম এবং আয়োজনের ব্যপ্তিতা কমিয়ে এনেছে।
এ রকম অবস্থা থেকে উত্তরণে সাহসী এবং কৌশলী ভূমিকা পালন করতে হবে। পুলিশকে দক্ষ, কৌশলী এবং যুগোপযোগী তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পাশাপাশি জনগণকেও এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে, কেননা পুলিশের একার পক্ষে অপরাধ দমন সম্ভব নয় যদি না জনগণ একীভূত না হয়ে পুলিশকে সহায়তা করে। পুলিশ-পাবলিক আন্ত:সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার স্বার্থে। কোন অবস্থাতেই অপরাধীদের ছাড় দেওয়া যাবে না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতে হবে নিজেদের স্বার্থেই। কেননা, একটা ঘটনায় কোনক্রমে অপরাধীরা ছাড় পেয়ে গেলেই পুনরায় অপরাধ করার সুযোগ পায়। বাংলাদেশে এমনও হয়েছে ঘটনার আকস্মিকতার বিচার দেখে যেতে পারেননি ক্ষতিগ্রস্ত। সুতরাং অপরাধের বিচার হতে হবে যে কোন মূল্যে তাহলেই আইনের শাসনের প্রতি সকলের আস্থা ফিরে আসবে এবং পুন:অপরাধীর সংখ্যাও কমে আসবে।
যুগের পরিক্রমায় এবং সময়ের পট পরিবর্তনের সাথে সাথে সংস্কৃতিতে নতুনের সংযোজন অস্বাভাবিক নয়। অস্বাভাবিক তখনই হবে, যখন আমাদের নিজস্ব কৃষ্টি কালচার হারিয়ে যেতে থাকবে। সেটি আরো ব্যতিক্রমীভাবে উপস্থাপিত হবে যদি রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতার কারণে আপামর জনসাধারণ তাদের সংস্কৃতির বহমান ধারার উপর স্থিতিশীল থাকতে না পারে। মুষ্ঠিমেয় কিছু জনগোষ্ঠীর কারণে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বাভাবিকতা ব্যাহত হওয়াটা খুবই দুশ্চিন্তার। কারণ, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের সুষ্ঠ সুন্দর কাজের পরিবেশ সৃষ্টি এবং নিরাপত্তার বিধান নিশ্চিত করা স্বয়ং সরকারের দায়িত্ব। অনেক ক্ষেত্রেই সরকারকে নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে কৌশলী ভূমিকা নিতে হয়। ঈদের নামাজে বোমা হামলার ঘটনা বাংলাদেশের সামগ্রিক ব্যবস্থায় খুবই অকল্পনীয় এবং সেটিও হয়েছে। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে যুবসমাজকে উদ্যমী ভূমিকা রাখতে হবে। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম-গানের মতো করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জঙ্গীবাদের শিকড় উপড়ে ফেলে সংস্কৃতির বাতায়ন নিয়ে বসতি গড়তে হবে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বাঙ্গালির চিরায়ত সমাজব্যবস্থাকে তথা সাংস্কৃতিক চেতনাকে কোনভাবেই নস্যাৎ করা যাবে না। সুতরাং সরকার, জনগণ সকলকেই একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে সফলতার বীজ বপনে।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)