স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে কি না বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে নিরাপত্তার দিক পর্যালোচনার পর।
একই স্থানে দুই দলের সমাবেশ আহ্বানের পর রোববার এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, পুলিশ কমিশনার ও আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনী দেখবে। তারা যদি কোনো গোলযোগের আশঙ্কা করে তাহলে হয়তো অন্য ব্যবস্থা নিবে আর আশঙ্কা না থাকলে অনুমতি দিবে।
গতকাল শনিবার প্রধান দুই দল সমাবেশের ঘোষণা দেয়। সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপুর্তির দিনটিতে বিএনপির সমাবেশ ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পর আওয়ামী লীগও একই স্থানে সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
আর এ নিয়েই রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপি বলছে, এর মাধ্যমে সরকার সংঘাতের রাজনীতিকে উষ্কে দিচ্ছে। আর সরকারি দল আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপিকে আর নতুন করে মানুষের জানমাল নিয়ে খেলতে দেওয়া হবে না।
৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ অ্যাখ্যা দেয়া বিএনপি শনিবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিএনপির এমন ঘোষণার পর আওয়ামী লীগও ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ রাজধানীর আরও ১৭ টি স্থানসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও সমাবেশের ঘোষণা দেয়।