জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, সিম কার্ডের পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন করা হবে মোবাইল হ্যান্ডসেটও।
মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে টেলিকম সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি শনিবার এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। এতে মূলত আলোচনা হয় অবৈধ বা চোরাই হ্যান্ডসেট এবং সেই হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে ছিনতাই, অপহরণ এবং চাঁদাবাজির মতো অপরাধ ইস্যুতে।
সন্ত্রাসবাদে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারকে আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, অতিরিক্ত ট্যাক্স মোবাইল হ্যান্ডসেটের অবৈধ বাজারকে উৎসাহিত করছে।
বক্তারা জানান, দেশে মোবাইল ফোনের বাজার প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার। হ্যান্ডসেটের পরিমাণ ৮ কোটি। বিস্তৃত এই মোবাইল বাজার নজরদারি করার লোকবল নেই টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার।
আলোচনায় অংশ নিয়ে তারানা হালিম বলেন, রাষ্ট্র এবং ব্যক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে খুলছে না ফেসবুকসহ বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত পাওয়ার আগে পর্যন্ত এগুলো খুলে দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিকল্প উপায়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিকল্প উপায়ে ব্যবহার করে নাশকতাকারীদের খুব বেশি সুবিধা প্রদান করা যাবে না বলেও দাবি করেন তিনি।
অবৈধ পথে হ্যান্ডসেট আমদানি বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনার পাশাপাশি তিনি জানান, অবৈধ হ্যান্ডসেটের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সেমিনারে টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম সজল ‘মোবাইল ডিভাইসেস অ্যান্ড ইটস রোল ইন ন্যাশনাল সিকিউরিটি’ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। এতে দেশের মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজার এবং তার ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, বিটিআরসি চেয়ারম্যান ডক্টর শাহজাহান মাহমুদ, কাস্টমস ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিকেশনের ডিজি ড. মঈনুল খান, লার্ন এশিয়ার সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাঈদ খান, অ্যামটবের সিইও ও মহাসিচব টিআইএম নুরুল কবির, ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার(ডিবি) মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।