চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘নিম্নবিত্তরা হলে আসে না, আমাদের টার্গেট মধ্যবিত্ত দর্শক’

‘৩ বছর আগে নিয়মিত হলে আসতো রিকশাওয়ালা, নিম্নবিত্ত কিংবা খেটে খাওয়া শ্রেণীর মানুষ। তারা এখন হলে গিয়ে ছবি দেখছে না। তাদের যে বিনোদনের চাহিদা ছিল ছবি দেখে সেটি পূরণ হচ্ছে না। তাই এখন সিনেমা নির্মাণ করতে হবে মধ্যবিত্ত দর্শক টার্গেট করে। আমাদের টার্গেট এটাই।’ বর্তমানে সময়ে কেমন চলচ্চিত্র নির্মাণ হওয়া উচিত সে সম্পর্কে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে এ কথাগুলো বলেন দেশের শীর্ষ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ।

২০১১ সালে ব্যবসায়ী পেশার পাশাপাশি আবদুল আজিজ প্রতিষ্ঠা করে জাজ মাল্টিমিডিয়া। কয়েক বছরে ৪৪টি সিনেমা নির্মাণ করে জাজ। সেখান থেকে ১৩ টি ছিল যৌথ প্রযোজনার ছবি। রুপালী পর্দায় ডিজিটাল চলচ্চিত্র, মেশিন, নতুন শিল্পী উপহার, আধুনিক নির্মাণের ছবি; এসব কিছু উপহার দিয়ে অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পায় জাজ মাল্টিমিডিয়া। আলোচনার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে জাজকে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবদুল আজিজ তাও থেমে থাকেননি। সব বাধা ডিঙিয়ে নির্মাণ করেছেন পোড়ামন, অগ্নি-২, অনেক সাধের ময়না, রোমিও ভার্সেস জুলিয়েট, শিকারী, নবাব, বাদশা, পোড়ামন ২, দহন-এর মধ্যে সুপারহিট চলচ্চিত্র।

২০১৯ সালে এসে ‘ভালো ছবির যে বিকল্প নেই’ প্রযোজক আবদুল আজিজ সেটাও উল্লেখ করেন। তার মতে, ‘ছবি ভালো হলে লগ্নিকৃত টাকা উঠে আসার নিশ্চয়তা থাকে।’ প্রযোজক আবদুল আজিজ বলেন, ‘কনন্টেন্ট ভালো হলে ডিজিটাল রাইট ভালো আসবে। ভালো কনটেন্ট থেকে ৪০-৫০ লাখ টাকা ডিজিটাল রাইট থেকে আসে। এছাড়া টেলিভিশন রাইট থেকে ১৫-২০ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এটা বিশাল সাপোর্ট। জাজের এমনও ছবি রয়েছে সিনেপ্লেক্সগুলো থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা সংগ্রহ হয়েছে।’

আগামী দুই বছরে দেশে আরও ১০ টি সিনেপ্লেক্স নির্মাণ হবে। এগুলো আসলে ছবি প্রদর্শনের পথ আরো সুগম হবে বলে মনে করেন আবদুল আজিজ। অনেকেই ধারণা করছেন, জাজ মাল্টিমিডিয়া ছবি নির্মাণ কমিয়েছে। কিন্তু আবদুল আজিজ বললেন, ‘এটা ভুয়া কথা। বরং জাজের প্রজেক্ট দিন দিন বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘জাজের হাতে এখন ছয়টি প্রজেক্ট রয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে এই ছবিগুলোর টানা কাজ হবে। তবে জাজ আগের চেয়ে বুঝেশুনে কাজ করছে।’

এখন ‘গল্প প্রধান’ ছবি নির্মাণ করতে জোর দিয়েছেন আবদুল আজিজ। তার ভাষায়, ‘গল্পই মেইন। গল্পে নতুনত্ব আনতে হবে যেটা আগে কেউ দেখেনি। জাজের নতুন ছবিগুলো হলো জ্বিন, আয়াত, মাসুদ রানা, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের গল্প। এসবগুলোই নতুন গল্পের ছবি। যা দর্শক কখনোই দেখেনি। তাই ছবিগুলো চলবে। শুধু তাই নয়, মৌলিক গল্প আমাদের চার পাশের ঘটনা নিয়েই জাজ এ বছর ছবি নির্মাণ করছে। যেখানে মৌলিক গল্পের প্রাধান্য থাকছে সবচেয়ে বেশি।’