ছাত্র ইউনিয়নের নেতা চায়না পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার এবং জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন সংগঠনটির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি লাকী আক্তার।
ছাত্রলীগকর্মী এহসান উদ্দিন ঋতুর ৫৭ ধারায় দায়ের করা একটি মামলায় চায়না পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।বাম ছাত্র সংগঠনটির রাঙামাটি জেলার শাখার সাংস্কৃতিক সম্পাদক চায়না পাটোয়ারী, যাকে ছাত্রলীগ নেতার করা ‘মিথ্যা মামলায়’ গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি লাকী আক্তারের।
ফেসবুকে নিন্দা জানিয়ে লেখাটির সাথে চায়না পাটোয়ারির গানের সাথে তার গলা মেলানোর একটি ভিডিও পোস্ট করেন লাকী আক্তার।
লাকী আক্তার ফেসবুকে লিখেছেন,
“এক ছাত্রলীগ নেতার দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় ছাত্র ইউনিয়ন নেতা চায়না পাটোয়ারী এখনো কারাগারে। ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মাত্র সতের বছর বয়েসি চায়নার জামিন না হওয়ায় আমরা অত্যন্ত বিস্মিত।
তবে এতকিছুর পরও চায়নার মনোবলে একটুকুও চিড় ধরেনি। বরং জেলখানাতেও চায়না তার সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠের নিরানন্দ পরিবেশটাকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে চায়নার গান। জেলখানার কয়েদি থেকে শুরু করে প্রহরী পর্যন্ত সকলে তাতে মুগ্ধ। যখন তখন গলা ছেড়ে গান গাওয়ার অভ্যাসটা ওর স্বভাবজাত। পড়াশুনা হিসেবেও বেছে নিয়েছে সঙ্গীতকে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ছাত্র সে।
এবারের বৈশাখ রাঙামাটিতে উদযাপন করেছিলাম। সেখানে ছাত্র ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন সহযোদ্ধাসহ চায়নার খালার বাসায় গেলাম একবেলা উদরপূর্তি করতে। খাওয়া দাওয়ার পর চায়না যথারীতি হারমোনিয়াম নিয়ে বসে পড়ল। ওর সুরেলা গলার সাথে রুক্ষ গলায় আমিও একটু তাল মেলাতে চাইলাম।
অপেক্ষায় আছি আবারও একসাথে গাইবো আমরা…
_______________________
পুনশ্চ: পাহাড়ে যখন জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারা হলেও খুনিরা ধরা পড়ে না, ঠিক তখনই চায়নার মত মানুষেরা কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয় তুচ্ছ ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়ার ‘ভয়ানক’ অপরাধে। রোমেল চাকমা হত্যার পর রাঙামাটি ছাত্র ইউনিয়ন সেটার প্রতিবাদ করায় তাদের উপর আক্রমণ করা হয়। চায়নার নামে মামলাও সেই দমন-পীড়নেরই ধারাবাহিকতা মাত্র।”