চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

নিধাস ট্রফিতে গুরুত্ব পাবেন অভিজ্ঞরা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলে অভিষিক্ত হয়েছে ছয় ক্রিকেটারের। প্রথম ম্যাচে চার ও দ্বিতীয় ম্যাচে দুই ক্রিকেটার মাথায় তোলেন টি-টুয়েন্টি ক্যাপ। বিপিএলে সক্ষমতা প্রমাণ করে আসলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে হতাশই করেছেন তারা। দলের পারফরম্যান্সও যাচ্ছেতাই। দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হওয়া বাংলাদেশ মার্চের প্রথম সপ্তাহে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে। এবার তারুণ্য নির্ভরতা কমিয়ে অভিজ্ঞদের সুযোগ করে দেয়ার চিন্তা করছে বিসিবি।

নিধাস ট্রফির জন্য বাংলাদেশ টি-টুয়েন্টি দল ঘোষণা করা হতে পারে রোববার। তার আগে শনিবার টিম ম্যানেজমেন্ট সভা করেছে বিসিবি কার্যালয়ে। সদ্য শেষ হওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজে বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের ভূমিকায় থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন জানান, দেশের বাইরের টুর্নামেন্ট, তার উপর ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিযোগী থাকায় অভিজ্ঞতার দিকে ঝুঁকবে বাংলাদেশ।

‘নতুনদের মধ্যে এখনো কিছু খেলোয়াড়কে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দিতে চাই। তবে চাপের কারণে কারণে হয়তবা একটু অন্যভাবে চিন্তা করতে হবে। ফিরে যেতে হবে পুরনো খেলোয়াড়দের কাছে, যারা অভিজ্ঞ। নিধাস ট্রফিতে যেহেতু ভারত-শ্রীলঙ্কা আছে এবং অন্য জায়গায় খেলছি। একটু অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হবে বলেই আমি মনে করি।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নতুনদের নিয়ে কাঁটাছেড়া করা নিয়ে সমালোচনা কম হইনি। তবে কেন টিম ম্যানেজমেন্ট তরুণদের সুযোগ দিয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সুজন। তার মতে, ভবিষ্যতের পাইপলাইন ঠিক রাখতেই তরুণদের সমাবেশ দেখা গেছে টি-টুয়েন্টি সিরিজের দলে।

মূর্তিকারিগর

‘টি-টুয়েন্টি সিরিজে আমরা কিন্তু তরুণদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিনি। আমরা পারফরম্যান্সকে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছিলাম। এক সাকিব না থাকলে অনেক সময় সমস্যা হয়। সাকিবের অভাব পূরণ করতে দুজন লাগে। সাকিব ফিরে আসলে আমরা উত্তরণ পাব। যারা গত সিরিজে টি-টুয়েন্টিতে সুযোগ পেয়েছিল সবাই দারুণ ক্রিকেটার, ভবিষ্যৎ ক্রিকেটার। আমাদের তো কোন না কোন জায়গায় নবীন তারকাদের সুযোগ দিতে হবে। ’

আরেকটু যোগ করে সুজন বলেন, ‘আমি মনে করি টেস্ট  ও ওয়ানডেতে আমরা খুব ভাল খেলি। ওখানে তরুণদের সুযোগ দেয়ার মত হয়নি। টি-টুয়েন্টিতে শুরু করতে হবে। নইলে একটা সময় খেলোয়াড়শূন্য হয়ে যেতে হবে। সামনে যে লম্বা সূচি আসছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ দল প্রায় ১৫৫দিন সফরের মধ্য থাকবে। এর মধ্যে বিশ্রাম নেই। এই সময়ে ইনজুরি থাকতে পারে, ফর্মহীনতা থাকতে পারে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে খেলোয়াড়দের তো তৈরি করতে হবে।’