চট্টগ্রামে গ্রেফতারের পর উদ্ধার অভিযানের সময় নিজ শরীরে লুকিয়ে রাখা গ্রেনেডের বিস্ফোরণে জেএমবির তথাকথিত সামরিক শাখা প্রধান মো. জাভেদ নিহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে, জাভেদসহ জেএমবি’র ৫ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। কর্ণফুলি থানা এলাকার ‘ভয়ঙ্কর আস্তানা’ থেকে উদ্ধার করা হয় হাতে তৈরি গ্রেনেড, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগরের আজিমপাড়ার একটি বাড়িতে জেএমবি সদস্যরা অস্ত্র ও গ্রেনেড তৈরীর ভয়ংকর একটি আস্তানা গড়ে তুলেছিলো। সেখানে গোয়েন্দা পুলিশ ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ১০টি হাতে তৈরী গ্রেনেডসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, বোমা ও গ্রেনেড তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
পুরোপুরি হিসাব না করে বলা না গেলেও আটক সরঞ্জাম দিয়ে বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরি করা সম্ভব ছিলো জানান গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বাবুল আকতার।
অভিযানের সময় জেএমবির এক সদস্য পুলিশের দিকে গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে। তবে পিন খোলা না থাকায় সেটি বিস্ফোরিত হয়নি। পরে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। সেসময় বিকট আওয়াজে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি’র একটি দল অভিযান চালায় বলে জানান সিএমপি’র ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. শহিদুর রহমান।
এলাকাবাসী জানায়, সবার অগোচরে জেএমবি’র ওই সদস্যরা নিজেদের কাজ চালাচ্ছিলো। আশেপাশে থেকেও তারা কিছুই টের পাননি এতোদিন।
পরে বায়েজিদ থানা এলাকায় উদ্ধার অভিযানে বের হলে জাভেদের শরীরে লুকিয়ে রাখা গ্রেনেডের বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।