স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মাত্র সাড়ে ৩ বছর পেয়েছিলো বাংলাদেশ। এই কম সময়ের শাসনামলেই প্রায় শূন্য অর্থনীতির দেশকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে যান বঙ্গবন্ধু।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর কাছে মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র জমা দিলেও কিছু অস্ত্র বাইরে থেকে যায়।
ওইসব অস্ত্র দিয়ে বিভিন্ন বাম সংগঠনের নামে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ডাকাতি, লুটতরাজ, ছিনতাই, বাড়িঘর দখলের মতো নৈরাজ্য শুরু করে। থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন, বাজার ও ব্যাংকলুট, পাটের গুদামে আগুন দিতে শুরু করে তারা।
৭৩ সালের প্রথম ৫ মাসেই ৬০টি থানায় হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুট করে এসব চক্র। শ্রেণী সংগ্রাম ও সামাজিক বিপ্লবের স্লোগান নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাসদের সরকারবিরোধী প্রচারণা ছিলো ওইসময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
৭৪ সালে মুজিব সরকার উৎখাতে সর্বাত্মক চেষ্টা শুরু করে জাসদ। তাদের হয়ে কথা বলতে শুরু করে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ এর মুখপত্র `হক কথা’।
সেসময় ৪ জন সাংসদসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী নিহত হন। জাসদকেও হারাতে হয় অনেক নেতাকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ৭৪’র ২৮শে ডিসেম্বর দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন বঙ্গবন্ধু।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে ১৯৭৫ সালের ২৪শে জানুয়ারি গঠিত হয় বাকশাল।
এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু ষড়যন্ত্র চলতে থাকে, চূড়ান্ত আঘাত আসে পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট।
বিস্তারিত দেখুন কাজী ইমদাদের ভিডিও প্রতিবেদনে: