টি-২০ উদ্বোধনী ম্যাচেই নিজেদের ইচ্ছামতো তৈরি করা পিচেই কুপোকাত হয়েছে টিম
ইন্ডিয়া। নিউজিল্যান্ডের কাছে ধোনি বাহিনী হেরেছে ৪৭ রানে।
১২৭ রানের
ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১ বল বাকি রেখে মাত্র ৭৯ রানেই গুটিয়ে যায়
ভারত। এই নিয়ে টানা পাঁচবার টি-২০তে কিউইদের কাছে হারলো ভারত।
ভারতের ইনিংসের প্রথম ওভারেই শিখর ধাওয়ানকে প্যাভিলনে পাঠায় নাথান ম্যাককুলাম। গত বছর জুনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া কিউই লেগ স্পিনার মিচেল সান্টনার তার ঘূর্ণি দিয়ে এক প্রকার ছড়ি ঘুরিয়েছে ভারতীয় টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের উপর।
তৃতীয় ওভারেই তিনি তুলে নেন রোহিত শর্মা ও সুরেশ রায়নাকে। ওভারের দ্বিতীয় বলে সান্টনারকে ক্রিজ থেকে বেড়িয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বলের টার্নের কাছে পরাজিত হন রোহিত। স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেননি রনচি।ওভারের পঞ্চম বলেই মিড উইকেটে গ্যাপটিলের কাছে ক্যাচ প্রাকটিস করিয়ে সান্টনার তুলে নেয় রায়নাকে।
দলীয় ১২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় ভারত। দলের ওই অবস্থায় হাল ধরেন বিচক্ষণ বিরাট কোহলি ও অভিজ্ঞ যুবরাজ সিং। এই জুটি দেখে শুনেই খেলতে থাকে।
তবে পঞ্চম ওভারে ভুল করে বসেন যুবরাজ। ম্যাককুলামের হাতে কট অ্যান্ড বোল্ড হন তিনি। যুবরাজের ফিরে যাওয়ার পর নিজেকে বেশিক্ষণ ক্রিজে ধরে রাখতে পারেনি কোহলি। সোধির অফ স্ট্যাম্পে পিচ করা বলে কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ২৩ রানের মাথায় উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেয় কোহলি।
এরপরেই ভারতীয়দের সাজঘরে আসা যাওয়ার মিছিল শুরু হয়। নবম ওভারে সান্টনরের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হন হার্দিক পান্ডিয়া। পরের ওভারে সোধি তুলে নেয় জাদেজাকে। এরপর অধিনায়ক ধোনি সংগ্রামী ইনিংস শুরু করেন অশ্বিনকে নিয়ে। ১৭তম ওভারে অশ্বিনকে আউট করেন সোধি। ক্রমেই বিপদজনক হয়ে উঠতে ভারতীয়দের শেষ ভরসা ধোনিকে ৩০ রানে লং অনে ম্যাককুলামের হাতে তালুবন্দি করে সাজঘরে পাঠান সান্টনার।
পেসার মিলনে শেষ ব্যাটসম্যান নেহেরাকে বোল্ড করলে জয়ের আনন্দে মেতে উঠে কিউইরা। এ জয় উৎসর্গ করা হয় তাদের সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি মার্টিন ক্রোকে।
কিউই স্পিনাররা নয়টি উইকেট ভাগাভাগি করে নেয়, এদের মধ্যে সান্টনার চারটি, সোধি তিনটি এবং ম্যাককুলাম দুটি উইকেট নেন।
এর আগে স্বাগতিক ভারতকে ১২৭ রানের লক্ষ্য দেয় নিউজিল্যান্ড। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্ল্যাক ক্যাপরা নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১২৬ রান করে।