বাংলাদেশের ক্রিকেট ‘আটকে থাকা’র পেছনে খালেদ মাহমুদ সুজন মিডিয়ার ভূমিকা দেখলেও তামিমের কাছে সংবাদমাধ্যম এখনকার সময়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশ’। বাংলাদেশ দলের এই সিনিয়র ক্রিকেটার মনে করেন সমালোচনা এড়িয়ে নিজেদের কাজেই মনযোগী হওয়া উচিত।
মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টি-টুয়েন্টি সিরিজের অনুশীলনে নামার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম বলেন, ‘উনি (খালেদ মাহমুদ) কী বলেছেন সে প্রসঙ্গে আমার না যাওয়াই ভালো হবে। মিডিয়ার বিস্ফোরণ নিয়ে আমি এতটুকু বলতে পারি, সমালোচনা কম-বেশি সব জায়গায় হয়। আমার কাছে দল হিসেবে, ম্যানেজমেন্ট হিসেবে আমরা শক্ত থাকি, সেটাই বড় কথা। এখনকার সময়ে মিডিয়াও খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা আমাদের কাজ করি, মিডিয়া মিডিয়ার কাজ করুক। আমাদের নিজেদের কাজেই মনোযোগ থাকা উচিত।’
একদিন আগে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুজন একটি ইস্যুতে সংবাদ মাধ্যমের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। আবাহনী, মোসাদ্দেক এবং তাকে জড়িয়ে কয়েকটি পত্রিকা খবর প্রকাশ করায় তিনি কিছুটা ক্ষুব্ধ এবং ‘আহত’ হন। তার দাবি, এসব খবর প্রতিষ্ঠিত করতে অন্য কারোর ইন্ধন আছে।
বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতার জন্য সুজন ক্রিকেটারদের দায়ী করেছিলেন। তামিমও কোনো অজুহাত না দিয়ে দায় নিচ্ছেন, ‘যেটা চলে গেছে, চলে গেছে। সত্যি বলছি সবাই খুব হতাশ। কারণ আমরা যেটা খেলেছি তার চাইতে ভাল পারফর্ম করতে পারতাম। দলে হিসেবে, ব্যক্তিগতভাবেও। কিন্তু সেটা হয়নি, ক্রিকেটে এমন হয়। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি; এজন্যই হারতে হয়েছে।’
১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে টি-টুয়েন্টি সিরিজ। সেরাটা খেলে শেষটা রাঙাতে চান তামিম, ‘আমাদের সবার ভাল খেলতে হবে। নিজেদের সেরাটা দিতে হবে। রান করতে হবে, উইকেট নিতে হবে। আমরা যদি আমাদের ভালটা খেলি ভাল একটা সিরিজ হবে।’
উভয় দলকেই সমশক্তির মনে করছেন তামিম, ‘গত কদিনে মনে হচ্ছে তারা (শ্রীলঙ্কা) ভালো করছে। তাদের দল অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশ্রণ, কিছুটা আমাদের মতোই। ওরা বা আমরা এগিয়ে আছি তা বলব না। দুই দলই সমান সামর্থ্যের, নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে।’