“সম্ভবত আমার নামের অপব্যবহার করা হয়েছে”, বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়া পানামাভিত্তিক আইনি প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার প্রকাশ করা গোপনীয় নথিতে বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনের নাম আসার প্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এক বিবৃতিতে এমনই মন্তব্য করেছেন বিগ বি।
বিতর্কের জন্ম দেয়া সাম্প্রতিক নথি ফাঁসের একদিন পর মঙ্গলবার নীরবতা ভাঙ্গলেন অমিতাভ।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে উল্লেখিত সি বাল্ক শিপিং কোম্পানি লিমিটেড, লেডি শিপিং লিমিটেড, ট্রিজার শিপিং লিমিটেড এবং ট্র্যাম্প শিপিং লিমিটেড কোম্পানিগুলো সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। আমি কখনোই এই কোম্পানিগুলোর পরিচালক হইনি। হতে পারে যে আমার নামের অপব্যবহার করা হয়েছে।
কর পরিশোধের ব্যাপারে আইন মেনে চলার উল্লেখে তিনি বলেন, আমি বিদেশে আমার ব্যয়িত অর্থসহ সকল সম্পদের কর পরিশোধ করেছি। এলআরএস’এর (লিবারেলাইজড রেমিট্যান্স স্কিম- কর রেয়াত ও সুনির্দিষ্ট কয়েকটি অনুমোদন ব্যতিরেকেই এ পদ্ধতিতে বিদেশে অর্থ প্রেরণ করা যায়) মাধ্যমে রেমিটেন্সসহ আইন মোতাবেক ভারতীয় কর পরিশোধ করেই আমি বিদেশে অর্থ প্রেরণ করেছি।
এছাড়াও এক্সপ্রেসের খবরেও তার অনিয়মের উল্লেখ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এমনকি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আমার অংশে কোন বেআইনি কার্যক্রমের কোন উল্লেখ করা হয়নি।
৩৫টি দেশে কার্যালয় থাকা মোসাক ফনসেকার এই বিশাল ‘লিক’এর পর নথিগুলোর বিষয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ একশ মিডিয়া গ্রুপের তদন্ত করে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রতিবেদনে বলা হয়, অমিতাভ বচ্চন অফশোর ট্যাক্স হেভেনস’এ নিবন্ধিত চারটি জাহাজ কোম্পানির পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন, যা ২৩ বছর আগে গঠিত হয়। অভিযুক্ত হয়েছেন তার ছেলে অভিষেক বচ্চনের স্ত্রী ও অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাইও।