চীনের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত করোনার নতুন ধরন ‘নিওকোভ’ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এর আগে চীনের উহান প্রদেশের বিজ্ঞানীরা সাউথ আফ্রিকায় বাদুরের মধ্যে নিওকোভ পাওয়ার দাবি করেন। এই ভাইরাসটি ভবিষ্যতে মানুষের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তারা।
এ ভাইরাসটির বিষয়ে অবগত রয়েছে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে নিওকোভ আদৌ কতটা প্রাণঘাতী সে বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করে তারা।
এনডিটিভির অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, নিওকোভ সুবিশাল করোনাভাইরাস পরিবারের এমন একজন সদস্য যার মাধ্যমে ঠান্ডা থেকে মারাত্মক রকমের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাও হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মানুষের দেহে সংক্রমিত ভাইরাসের উৎস হিসেবে কাজ করে বন্যপ্রাণী। কিন্তু সেগুলির মধ্যে সবই মানুষের পক্ষে বিপজ্জনক নয়।
সম্প্রতি চিনের উহানের তিন চিকিৎসা-বিজ্ঞানী দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়ের দেহে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিওকোভের সন্ধান পান। তাঁদের দাবি, মানুষের শ্বাসযন্ত্রকে গুরুতর ভাবে প্রভাবিত করতে পারে সদ্য আবিষ্কৃত এই ভাইরাস। এর প্রভাবে মৃত্যুর সম্ভাবনা করোনাভাইরাসের ডেল্টা বা অন্য রূপের তুলনায় তুলনামূলক ভাবে বেশি হতে পারে। প্রতি তিন জন আক্রান্তের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ‘ভেক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়ো-টেকনোলজি’ নিওকোভ প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিতে জানায়, নিওকোভ নিয়ে এখনই চিন্তার কিছু নেই। মানব শরীর এই ধরনটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম।