বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে সাউথ আফ্রিকা। বুধবার বার্মিংহামে লড়বে বিশ্বকাপের দুই চেনা প্রতিপক্ষ। হেরে গেলেই সেমিফাইনালের স্বপ্ন ফিকে হবে, এই সমীকরণ জেনেই কিউইদের বিপক্ষে নামছে প্রোটিয়ারা।
আসরে প্রথম তিন ম্যাচে হেরে খাদের কিনারায় চলে যায় সাউথ আফ্রিকা। চতুর্থ ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে বেশ নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে প্রোটিয়ারা। পঞ্চম ম্যাচে আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমির স্বপ্ন নিভুনিভু করে হলেও জ্বালিয়ে রেখেছে ডু প্লেসিসের দল।
সেখানে এখনো পর্যন্ত আসরে অপরাজিত নিউজিল্যান্ড। চার ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে কিউইরা। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। সাউথ আফ্রিকাকে হারাতে পারলে নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে যাওয়া সময়ের ব্যাপারে হয়ে দাঁড়াবে।
সেরা চারে যেতে হলে সাউথ আফ্রিকাকে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে। নিজেদের শেষ চার ম্যাচেই জিততে হবে গত বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালিস্টদের। প্রোটিয়ারা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কতটুকু প্রস্তুত সেটি সময়ই বলে দেবে।
নিউজিল্যান্ড তো মজবুত অবস্থানে আছে। সেমিফাইনালের স্বপ্ন উজ্জ্বল তাদের। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতলেও ভারতের বিপক্ষে কিউইদের বড় পরীক্ষা ছিল। বৃষ্টির কারণে সেই পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। তাতে সামনে সাউথ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো শক্তিশালী দলের বাধা পেরিয়ে তবেই সেমির টিকিট কাটতে হবে কেন উইলিয়ামসনের দলকে।
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে বেশ এগিয়ে সাউথ আফ্রিকা। ৭০ বারের সাক্ষাতে ৪০টিতে জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা। তবে বিশ্বকাপের ফলাফলে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। ১৯৯২ সালে সাউথ আফ্রিকার বিশ্বকাপে অভিষেক হয়। তখন থেকে প্রতিবারই বিশ্বমঞ্চে মুখোমুখি হয়ে আসছে দুদল। এখানে একচ্ছত্র আধিপত্য কিউইদের।
বিশ্বমঞ্চে ৭ বারের সাক্ষাতে নিউজিল্যান্ডের পাঁচ জয়ের বিপরীতে সাউথ আফ্রিকা জিতেছে দুবার। বিশ্বকাপে সর্বশেষ চার আসরের সাক্ষাতেই প্রোটিয়াদের হারিয়েছে গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টরা।
২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের স্মৃতি এখনো দগদগে সাউথ আফ্রিকার। সেই ক্ষতে প্রলেপ দেয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন হাশিম আমলারা। বুধবার কিউইদের হারাতে পারলে গত বিশ্বকাপে হারের ক্ষতেও কিছুটা প্রলেপ দেয়া যাবে! পাশাপাশি সেমির স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে পারবে সাউথ আফ্রিকা।
টিম নিউজ
একাদশে পরিবর্তন আনার কোনো চাপ নেই নিউজিল্যান্ডের। হেনরি নিকোলসকে বেঞ্চে রেখে তাই কলিন মুনরোকে ধরে রাখতে পারে কিউইরা। তবে কন্ডিশন যদি স্পিনারদের সহায়তা করে, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে বসিয়ে মিচেল স্যান্টেনারের সঙ্গে ইশ সোধিকেও একাদশে যোগ করতে পারে নিউজিল্যান্ড।
ইনজুরি কাটিয়ে সাউথ আফ্রিকার একাদশে ফিরছেন লুনগি এনগিদি। পিচে স্পিন ধরার ইঙ্গিত পেলে তাবরিজ শামসিকে একাদশে নিতে পারে প্রোটিয়ারা। অথবা জেপি ডুমিনিকে একাদশে নিয়ে মিডলঅর্ডার শক্তিশালী করার পাশাপাশি স্পিন শক্তি বাড়ানোর পথেও হাঁটতে পারে সাউথ আফ্রিকা।
সম্ভাব্য একাদশ
নিউজিল্যান্ড: মার্টিন গাপটিল, কলিন মুনরো, কেন উইলিয়ামসন, রস টেলর, টম ল্যাথাম, জেমস নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম/ইশ সোধি, মিচেল স্যান্টেনার, লোকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্ট।
সাউথ আফ্রিকা: কুইন্টন ডি কক, হাশিম আমলা, এইডেন মার্করাম, ফ্যাফ ডু প্লেসিস, রসি ফন ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার/জেপি ডুমিনি, আন্দিলে ফেলুকোয়ও, ক্রিস মরিস, কাগিসো রাবাদা, লুনগি এনগিদি ও ইমরান তাহির।