নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের স্মরণে শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় রেডিও ও টেলিভিশনে জুমার নামাজের আজান সম্প্রচার করা হয়।
এছাড়া সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের অন্য ধর্মের নারীরা মাথায় হিজাব পরেছিলেন।
গত সপ্তাহে সন্ত্রাসী হামলায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ করার জন্য শুক্রবার জুম্মার খুতবায় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডার্ন সহ হাজার হাজার শোকাবহ মানুষ ক্রাইস্টচার্চে একসাথে সমবেত হয়েছেন। উপস্থিত বেশির ভাগ মানুষ ছিলেন অমুসলিম।
সেখানে গ্র্যান্ড মুফতি আজানের পর সমবেত সকলের উদ্দেশ্যে এক আবেগঘন বক্তব্য দেন। এটাই হচ্ছে মানবতা, এটাই হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্ম, মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমার বিশ্বাস মুসলমানরাও এভাবে অন্য ধর্মের মানুষের বিপদে এভাবেই পাশে দাঁড়াবেন। জয় হোক মানবতার।
এ হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে দুই মিনিট নিরবতাও পালন করেন সবাই।
ছোট শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিউজিল্যান্ডবাসী শোকাহত। আমরা সবাই এক।
এ ঘটনার পর গতকাল নিউজিল্যান্ডে অ্যাসল্ট রাইফেল, সব ধরনের সেমি-অটোমেটিক অস্ত্র এবং উচ্চক্ষমতার ম্যাগজিন (আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিভর্তি অংশ) নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
আগামী ১১ এপ্রিল এই সংক্রান্ত আইন পাসের পর তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকরের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
গত শুক্রবার স্বঘোষিত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ২৮ বছর বয়সী ট্যারান্ট ক্রাইস্টচার্চের আল নূর এবং লিনউড মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর অতর্কিতে বন্দুক হামলা চালান।
ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫০। আহত হন আরো অন্তত ৪৭ জন।
সেদিন মসজিদে নামাজ আদায় করতে গেলেও একটু দেরিতে যাওয়ায় বেঁচে যান ওই সময় নিউজিল্যান্ডে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।