নিউইয়র্কে ব্রুকলিনের একটি হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন সাংবাদিক সন্তোষ মণ্ডল। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর।
বুধবার দেশে পাঠানো হবে সন্তোষ মণ্ডলের মরদেহ । আপাতত মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়েছে।
এক সময়ের স্বনামধন্য ক্রইম রিপোর্টার সন্তোষ মণ্ডল টেলিভিশন সাংবাদিকতার জগতে ছিলেন প্রিয়মুখ। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে চ্যানেল আই পরিবার।
সন্তোষ মণ্ডল ছিলেন তুখোড় ক্রাইম রিপোর্টার। সাংবাদিকতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন বলেই বিসিএস পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হবার পরেও যাননি সরকারি কলেজের শিক্ষকতায়। কাজ করেছেন বাংলাবাজার পত্রিকা, দৈনিক মুক্তকণ্ঠ, দৈনিক সংবাদ, ডেইলি সান, রাইজিং বিডিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
চ্যানেল আই সংবাদে কাজ করার সময় যেখানেই ঘটনা সেখানেই ছুটে গেছেন তিনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবেদনে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরেছেন।
দীর্ঘ দিন তিনি কাজ করেছেন চ্যানেল আইয়ে। যুগ্মবার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের সময়ও ছুটে যেতেন রিপোর্টের সন্ধানে। সবসময় নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫ সালর আগস্ট মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেন সন্তোষ মণ্ডল।
সোমবার বুকে ব্যথা অনুভব করলে হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ব্রুকলিনের কিংস কাউন্টি হাসপাতাল থেকে মরদেহ একটি ফিউনারেল সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিজ দেশে মরদেহ পাঠানো হবে ওই সংস্থার মাধ্যমে।
তার মৃত্যুর সংবাদে শোকের ছায়া নেমে আসে নিউইয়র্কে থাকা গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে। তারা ছুটে যান হাসপাতালে। প্রবাসী সাংবাদিকরা সন্তোষ মণ্ডলের মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যাপারে বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, বুধবার তার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হবে।
১৯৬৯ সালে যশোরের কেশবপুরে জন্মগ্রহণ করেন সন্তোষ। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
দীর্ঘ দিনের পথ চলার সঙ্গী আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে দেশের গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে।
ডিআরইউ সভাপতি জামাল উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ এক বিবৃতিতে সাংবাদিক সন্তোষ কুমার মণ্ডলের মৃত্যুতে
গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা
জানিয়ে প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন।