দুই নায়িকার কি বন্ধুত্ব হওয়া সম্ভব? এত প্রতিযোগিতা আর হিংসার ভিড়ে নায়িকাদের মাঝে খাঁটি বন্ধুত্ব মেলাই কঠিন। কিন্তু এর মাঝেও বলিউডে গড়ে উঠেছে কিছু নিখাদ বন্ধুত্ব। এই ফিচারে উঠে এসেছে বলিউডের নায়িকাদের বন্ধুত্বতা:
ঐশ্বরিয়া রাই ও প্রীতি জিনতা:
প্রীতি জিনতা এবং ঐশ্বরিয়ার রাইয়ের বন্ধুত্ব অনেক বছরের। প্রীতি সবসময়েই ঐশ্বরিয়ার সুনামে পঞ্চমুখ থাকেন। বিয়ে এবং সন্তান জন্মের পরেও ঐশ্বরিয়া এগিয়ে যাচ্ছেন আপন গতিতে, এই বিষয়টি নিয়ে প্রীতি বরাবরই সুনাম করে আসছেন প্রীতি। অভিষেক এবং বচ্চন পরিবারের বাকিদের সঙ্গেও প্রীতির সম্পর্ক খুব ভালো।
দীপিকা পাডুকোন ও আনুশকা শর্মা
সমসাময়িক নায়িকাদের মধ্যে সাধারণত বন্ধুত্ব বিষয়টা প্রায় অনুপস্থিত, আরে সেটা যদি হয় কোনো ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় কেউ, তাহলেতো কথায় নেই! কিন্তু ব্যতিক্রম আনুশা শর্মা ও দীপিকা পাডুকোন। সময়ের শীর্ষ এই দুই নায়িকার বন্ধুত্ব বলিউডের অনেকের কাছেই এখন ঈর্ষণীয়।
অভিনয়ের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দীপিকা পাড়ুকোন ও আনুশকা শর্মা ভালো বন্ধু। মিডিয়া তাদের মাঝে প্রতিযোগিতা তৈরির কম চেষ্টা করেনি। কিন্তু সব বাধা বিপত্তি পেরিয়ে তাদের বন্ধুত্ব তারা মজবুত রেখেছেন সব সময়। তারা প্রায়ই একসঙ্গে পার্টি করেন। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানগুলোতেও তাদেরকে এক সঙ্গেই দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমেও একে অন্যকে চুমু দেওয়ার ছবি শেয়ার করেছেন তারা।
কারিনা কাপুর ও অমৃতা
কারিনা এবং অমৃতা ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন কাছাকাছি সময়ে। অমৃতা যখন ক্যারিয়ার গুছানোতে ব্যস্ত, কারিনা তখন শহীদ কাপুরের সঙ্গে প্রেম করছিলেন। সেই সময় থেকেই অমৃতা এবং কারিনার বন্ধুত্ব। এত বছর বন্ধুত্ব টিকিয়ে রেখেছেন তারা। অমৃতা এখন কারিনার পারিবারিক বন্ধু। দুজনে প্রায়ই একসঙ্গে শপিং এ যান, পার্টি করেন এবং আড্ডা দেন।
সোনম কাপুর ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
সোনম কাপুর এবং জাকুলিন ফার্নান্দেজ, এই দুই ফ্যাশন কুইনের বন্ধুত্ব বলিউডে অনেকের মনেই ঈর্ষা জাগাতে পারে। কারণ প্রতিযোগিতার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের বন্ধুত্ব একেবারেই নিঃস্বার্থ। তারা একে অপরকে ভীষণ ভালোবাসেন। এমনকি সোনম যখন সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন, তখন আক্রান্ত হওয়ার ভয় আছে জেনেও জ্যাকুলিন হাসপাতালে গিয়েছিলেন সোনমকে দেখতে।
আলিয়া ভাট ও পরিণীতি চোপড়া
বলিউডে আলিয়ার বন্ধুর অভাব নেই। বন্ধু প্রিয় আলিয়ার আরেক কাছের বন্ধু হলেন পরিণীতি চোপড়া। পরিনীতিকে যখন সবাই ফিগার সচেতন হতে বলছিল, তখন ভীষণ ভেঙ্গে পড়েছিলেন তিনি। আলিয়াই তখন পরিণীতিকে মনোবল যোগাতে সাহায্য করেন।