এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে পারফর্ম করেছেন প্রায় সবাই। তবে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করা খেলোয়াড় দুজন। একজন নাসির হোসেন, অন্যজন মুমিনুল হক। সোমবার লিগের শেষ রাউন্ডে নামার আগে গাজী গ্রুপের এই দুই পারফর্মারকে নিয়ে আলাদা ভাবনার কথা জানালেন প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল।
‘নাসির গত বছর আমাদের টিমে খেলেছে। এবার কেবল একটা ম্যাচে আউট হয়েছে সেটি আমাদের সঙ্গেই। নাসির সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। বাংলাদেশের ওয়ান অব দ্য বেস্ট প্লেয়ারস; বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে। তাকে নিয়ে আমাদের আলাদা একটা প্ল্যান তো থাকবেই। এছাড়া অন্যদের মধ্যে মুমিনুল আছে। নাসিরের চাইতেও মুমিনুল বেশি ভাল খেলে আমাদের সাথে। তাকে নিয়েও আলাদা করে ভাবতে হবে।’
কাগজে-কলমে আবাহনী কিংবা গাজীর মতো শক্তিশালী দল গড়তে পারেনি দোলেশ্বর। তবে শাহরিয়ার নাফীস, ফরহাদ রেজা, মার্শাল আইয়ুব, আরাফাত সানির মতো অভিজ্ঞরা ভাল করায় চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইটে রয়েছে দলটি। প্রথম পর্ব ও সুপার লিগে গাজী ছাড়া ১০টি দলকে একবার করে হারিয়েছে মিজানুর রহমান বাবুলের দল। শেষ ম্যাচে গাজীকে হারিয়ে সব দলের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেতে চায় তার দল।
‘অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আমরা এখানে এসেছি। একটা ম্যাচ জেতার পর আমরা আবাহনীর কাছে হেরে গেছি। আবার গাজীর কাছে হেরে যাওয়ায় আমাদের একটা সুযোগ আসছে চ্যাম্পিয়নশিপের। ছেলেদের অনেক উদ্যম আছে। কালকের ম্যাচ নিয়ে সবাই খুব ইতিবাচক। জিততে চাই আমরা। চ্যাম্পিয়ন কে হয় না হয় ওটা পরের ব্যাপার। কিছু সমীকরণ তো আছেই। একবার শুনি আমরা জিতলে চ্যাম্পিয়ন হবো। আবার শুনি সমীকরণ আছে, হেড টু হেড। যাই হোক এ বছর সব টিমকে হারিয়েছি, একটা টিমকে পারিনি সেটি হল গাজী।’
বিকেএপির তিন নম্বর মাঠে সোমবার সকাল ৯টায় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে গাজী ও দোলেশ্বর। গাজী জিতলেই হয়ে যাবে ২০১৬-১৭ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন। দোলেশ্বর জিতলে তাদের তাকাতে হবে পাশের চার নম্বর মাঠে আবাহনী-শেখ জামাল ম্যাচের দিকে। আবাহনী হারলে খুলে যাবে দোলেশ্বরের শিরোপা ভাগ্য। তখন গাজী-দোলেশ্বর দুটি দলের পয়েন্টই হবে সমান ২৪।
লিগের বাইলজ অনুযায়ী, দুটি দলের পয়েন্ট সমান হলে রানরেট বিবেচনায় যারা এগিয়ে থাকবে তারাই হবে চ্যাম্পিয়ন। শেষ রাউন্ড শুরুর আগ পর্যন্ত গাজীর চেয়ে রানরেটে এগিয়ে দোলেশ্বর। শেষ রাউন্ডে আবাহনী ও দোলেশ্বর জয় পেলে তিন দলের পয়েন্ট হবে ২৪। সেক্ষেত্রে বিবেচনায় আসবে হেড টু হেড। হেড টু হেড বিবেচনায় গাজীর সম্ভাবনা বেশি।