হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে দেড় মাস ধরে ঘরবন্দী নাসির হোসেন। এসিএল-বিসিএল উভয় লিগামেন্ট ছেড়ায় অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই। সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নিয়েছে বিসিবি। কিন্তু গোল বেধেছে নামকরা সার্জনদের অ্যাপয়েনমেন্ট না মেলায়। নাসিরের অপেক্ষাটা তাই কেবলই দীর্ঘ হচ্ছে।
বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলেই যার নামটি সবার আগে আসে, তিনি ডেভিড ইয়াং। অস্ট্রেলিয়ান এ শল্যবিদের শরণাপন্ন হতে চেয়েছিলেন ফুটবল খেলতে গিয়ে চোটে পড়া নাসির। কিন্তু মেলবোর্নের এই চিকিৎসক আগামী দেড় মাস ব্যস্ত থাকবেন আগেই অ্যাপয়েনমেন্ট ঠিক হয়ে যাওয়া রোগীদের নিয়ে।
ইয়াংয়ের পরামর্শে সিডনির নামকরা এক সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। তার অ্যাপয়েনমেন্ট যদি লম্বা সময় পর হয় তাহলে তৃতীয় বিকল্প হিসেবে সিঙ্গাপুরে নাসিরের সার্জারি করাতে চেষ্টা করা হবে বলে জানালেন তিনি।
‘নাসির যত দ্রুত অস্ত্রোপচারে যাবে ততদ্রুত খেলায় ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকবে। করসারভেটিভ ওয়েতে ওর ইনজুরিটা ম্যানেজ করা যাবে না। কেননা এসিএল ও বিসিএল দুটো লিগামেন্টেই সমস্যা আছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। লজিস্টিক সমস্যায় শিডিউল পাচ্ছি না। ডাক্তার এভেইলেবল না। সিডনির ডাক্তারের ব্যাপারে আমরা দ্রুতই কনফার্মেশন পাবো। যদি শিডিউল পেতে বেশি দেরি হয় তাহলে বিকল্প চিন্তা করবো। সিঙ্গাপুরে যোগাযোগ করতে পারি। সেখানে এক মাসের মধ্যেই করানো যাবে।’
গত ৮ এপ্রিল নাসিরের ডান হাঁটুর এন্টেরিয়র ক্রসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) ছিঁড়ে যায়। সাধারণত ফুটবলার, হকি ও বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের হাঁটুতে এমন ইনজুরি স্বাভাবিক ঘটনা। ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এ ধরণের ইনজুরি খুবই কম। বাংলাদেশ দলে খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এমন ইনজুরিতে পড়েছেন নাসির। অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হতে তার লেগে যাবে ৬ মাসেরও বেশি।