বিপিএলের প্রথম ম্যাচে নাসির হোসেনের সিলেট সিক্সার্সের কাছে পাত্তাই পেল না সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস। সিলেটের সুরমা নদীর তীরে নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নবাগত দলটির কাছে কুল খুঁজে পায়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সাকিব-সাঙ্গারা ম্যাচ হেরেছে ৯ উইকেটে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নাসিরদের বোলিং তোপে ১৩৬ রানেই আটকে যায় ঢাকা ডায়নামাইটস। জবাবে ১৯ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় সিলেট।
কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন বোলাররা। টার্গেটটা ছোট হওয়াতে তাই শুরু থেকেই দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন সিলেটের দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও আন্দ্রে ফ্লেচার। সাকিব, শহিদ, আবু হায়দার ও আদিল রশিদদের মত বোলারদের সাধারণমানে নামিয়ে ম্যাচ জিতে নেন তারা।
বাহারি শটের ফুল ছড়িয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সিলেটের দুই ওপেনারই। জয় থেকে যখন মাত্র ১১ দূরে দাঁড়িয়ে দল, তখন আউট হন ফ্লেচার। ৫১ বলে ৬৩ রান করে আদিল রশিদের বলে স্বদেশী এভিন লুইসের হাতে ধরা পড়েন। তার ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কার মার। ফ্লেচার ফিরে গেলেও ৪৭ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন থারাঙ্গা।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক বলে প্রমাণ করেন অধিনায়ক নাসির নিজেই। প্রথম ওভারের শেষ বলে দলকে সাফল্য এনে দেন অধিনায়কই। স্কোরবোর্ডে ২ রান উঠতেই মেহেদী মারুফকে রস হুইটলির ক্যাচ বানিয়ে ঢাকার ইনিংসে আঘাত হানেন নাসির।
তাতে বিপিএলে শুরুটা মোটেও ভাল হল না হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত মারুফের। প্রথম ম্যাচে হিসাবের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি।
প্রথম ওভারে উইকেট হারালেও আরেক ওপেনার এভিন লুইস এবং কুমার সাঙ্গাকারার ব্যাটে এগোচ্ছিল ঢাকা। কিন্তু সপ্তম ওভারে লুইসকেও (২৬) ফিরিয়ে দেন নাসির।
দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর করলেও ভাল ছন্দে ছিলেন না কুমার সাঙ্গাকারা। ৩২ রান করতে বল খেলেছেন ২৮টি। সাঙ্গা ফেরার পর সিলেটের মিডলঅর্ডারকে টানতে পারেননি আর কেউেই।
মাত্র ৬ রান করে রানআউটের শিকার হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি কাইরন পোলার্ডও (১১) । অধিনায়ক সাকিব করেছেন ২৩ রান।
সিলেটের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাসির হোসেন, আবুল হাসান ও লিয়াম প্লাঙ্কেট।
রোববার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে সিলেট সিক্সার্স। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে খেলবে ঢাকা ডায়নামাইটস।