সিলেটের কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি। আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ (রোববার) মামলার আসামি বদরুলের উপস্থিতিতে খাদিজার সাক্ষ্য গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু খাদিজা আদালতে উপস্থিত হওয়ার মতো সুস্থ না থাকায় তার পক্ষে আদালতে হাজির হওয়ার সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি।
রোববার খাদিজাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশনা ছিলো। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি আদালতে হাজির হননি। তার পক্ষ থেকে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়।
খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় ইতিমধ্যেই ৩ কার্যদিবসে মামলার ৩৭ আসামীর মধ্যে ৩৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। খাদিজা বর্তমানে ঢাকার সাভারের সিআরপিতে চিকিৎসাধীন।
গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেট সরকারী মহিলা কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত শিক্ষার্থী (পরে বহিষ্কৃত) ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা ধোলাই দিয়ে বদরুলকে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন তার চাচা আবদুল কুদ্দুস। পরে ৫ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বদরুল। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
৩ অক্টোবর দিবাগত রাতেই খাদিজাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকতে থাকতে বেঁচে ফিরেন খাদিজা। পরে তাকে থেরাপি দেওয়ার জন্য সিআরপিতে নেওয়া হয়।
গতবছরের ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। পরে ৫ ডিসেম্বর, ১১ ডিসেম্বর ও ১৫ ডিসেম্বর বদরুলের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন ৩৩ জন।